দাফনের দুদিন পর মেয়ে ব্যবহৃত ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা ‘সুইসাইড নোট’ থেকে গণধর্ষণের তথ্য জানতে পারেন তার মা জোসনা বেগম।
নিহতের পরিবার ওই চিরকুটটি (সুইসাইড নোট) বিশ্বনাথ থানা পুলিশের কাছে জমা দেয় এবং সোমবার মেয়েটির বাবা শুকুর আলী বাদী হয়ে থানায় চার জনের নাম উল্লেখ করে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকালে নিজ বসতঘর থেকে পপি বেগমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে ওই তরুণীকে নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতের মা জোসনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ১৩ অক্টোবর রবিবার মেয়ে পপি বেগমের ব্যবহৃত ভ্যানেটি ব্যাগ হাতে নিয়ে তিনি মেয়ের রেখে যাওয়া স্মৃতি দেখতে গিয়ে ওই ব্যাগের মধ্যে পপির নিজ হাতে লেখা একটি কাগজ দেখতে পান। এসময় তিনি প্রতিবেশী লোকজনকে ওই কাগজটি দেখান। তখন কাগজে লেখা পড়ে জানতে পারেন গণধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জায় তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি আরও জানান, তার মেয়ে পপি বেগমের নিজ হাতে লেখা ওই কাগজ পড়ে তিনি জানতে পারেন গত বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বোনের বাড়িতে অবস্থানকালে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে পপি বেগম ঘরের বাইরে যায়। তখন আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুই ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং তার মুখ, হাত ও পা বেঁধে মারধর করে রাতভর পাশবিক নির্যাতন করে। এরপর ভোর রাতে পপিকে বোনের বাড়িতে (যেখান থেকে উঠিয়ে নেয়া হয়, সেই স্থানে) ফেলে রেখে যায় ওই দুই ব্যক্তি। তবে ওই দুই জনকে পপি চিনতে পেরেছে এবং তাদের নামও সুইসাইড নোটে সে উল্লেখ করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান জোসনা বেগম।