সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে বিজয় দিবসের কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের চলমান বার্ষিক পরীক্ষার ‘আইসিটি’ বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। আবার একটি কক্ষে চলছিল কোচিং ক্লাস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও শিক্ষকরা যদি বিজয় দিবসের দিন অনুষ্ঠান পালনের বদলে পরীক্ষা নেন তাতে তাদের কী করার আছে। ‘আমরা বাধ্য হয়েই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। পরীক্ষায় অংশ না নিলে তো ফেল করব। আর কে জীবনের একটি বছর নষ্ট করতে চায়?’
এ ব্যাপারে অভিভাবক আখতার হোসেন বলেন, অতীতে এমন হয়নি। এবার কেন এমন হলো জানি না।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস আলী বলেন, ‘ভুল হয়ে গেছে। আমাদের এটা করা ঠিক হয়নি। আর এমনটি হবে না।’
তবে একাডেমির পরিচালক ও অলংকারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মোজাহিদ জানান, পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী ১৬ ডিসেম্বর কোনো পরীক্ষা নেই। এটি ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
‘প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য শিক্ষকরাই বিজয় দিবসের দিন পরীক্ষা নিয়েছেন। আজকের পরীক্ষার ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি,’ যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সমীর কান্তি দেব বলেন, বিজয় দিবসের দিন পাঠদান কোনো অবস্থায় গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।