গত এক মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সড়কে প্রায় ২০-২৫টি অটোরিকশা ও গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হন চার জন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভিপি নুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
এলাকার সচেতন মহলের দাবি, অবৈধ ও অদক্ষ চালককে নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অদৃশ্য কারণেই নীরব ভুমিকা পালন করছে। এর ফলে এদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, অটোরিকশা চালকরা অদক্ষ কিশোর। এদের বেশি ভাগেরই নেই প্রশিক্ষণ, নেই কোনো কাগজপত্র। যার ফলে দিন দিন দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েই চলছে। ন্যায্য ভাড়া পরিশোধ করে যাত্রী সাধারণ সড়কে চলাচল করলেও অদক্ষ ও কিশোর চালকের কারণে যাত্রীরা প্রাণ দিতে হচ্ছে। এদের নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের তেমন অভিযান চোখে পড়ে না। ফলে সড়কে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ওরা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অদক্ষ চালক হওয়ায় সড়কে প্রতিযোগিতামূলকভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি
অবৈধ এসব যানবাহনের দুর্ঘটনায় যাত্রী সাধারণ আহত হলেও এর জন্য দায়ী চালকরা শাস্তির আওতায় আসছে না। গাড়ির মালিকেরাও বেশি লাভের আশায় অদক্ষ ও কিশোর চালকদের ব্যবহার করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া অটোরিকশা মালিক সমিতির সূত্র জানায়, সদর উপজেলার অভ্যন্তরে চলাচলকারী অটোরিকশা চালকদের মধ্যে প্রায় ৬০ ভাগ চালক অদক্ষ কিশোর।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ব্রিজের পাড় ভেঙে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা
অটোরিকশার যাত্রী মো. সজিব ও রায়হান আজাদ বলেন, ‘আমরা নিরুপায় হয়ে অটোরিকশায় যাতায়াত করি। বর্তমানে বেশির ভাগই কিশোর বয়সী চালক।’
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক চৌধুরী জানান, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া অটোরিকশার যে সমিতি আছে সেই সমিতিতে অদক্ষ কিশোর অটোরিকশা চালক নেই। সমিতির বাইরে কিছু মালিকরা অদক্ষ চালকের হাতে অটোরিকশা তুলে দেন।
অদক্ষ চালকদের ফলে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে এটা বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাছে দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত
অদক্ষ চালক ও কিশোর এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে গাড়ি তুলে দেয়ার জন্য মালিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সচেতন নাগরিকরা।
এ ব্যাপারে জেলা ট্রাফিক পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) দেবু ভট্রাচার্য বলেন, ‘আমরা ১৮ বছরের নিচে কোনো চালককে অটোরিকশা দিতে মালিক পক্ষকে নিষেধ করেছি। যেহেতু তাদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে আমরা শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করব।’