রবিবার দুপুরে তারা ৩৭টি বাসে করে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ ত্যাগ করেন। এর আগে শুক্র ও শনিবার এসব রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে বাসে করে ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে পুরো বিশ্ব সম্প্রদায়ের এক হওয়া উচিত: ইইউ
সংশ্লিষ্টরা জানান, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবির থেকে ভাসানচরে যাওয়ার উদ্দেশে রোহিঙ্গারা স্বপরিবারে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসতে থাকেন। রবিবার সকালে সেখানে দুই হাজার রোহিঙ্গাকে দেখা যায়। স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক এমন রোহিঙ্গাদের নাম নিবন্ধন করে তাদের মালপত্র কার্গোতে তুলে পরিবারের সদস্যদের বাসে ওঠানো হয়।
আরও পড়ুন: 'আলহামদুলিল্লাহ, ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধায় সন্তুষ্ট’: এক রোহিঙ্গার অনুভূতি
প্রথম ধাপে ২১টি বাসে তাদের ওঠানো হয়। পরে দুপুরে আরও ১৬টি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। বাসে ওঠা নিবন্ধিত রোহিঙ্গারা চট্টগ্রামের বিএন শাহীন কলেজের ট্রানিজট ক্যাম্পে থাকবেন। সেখানে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শেষে নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় সোমবার তাদের জাহাজে করে ভাসানচরে পৌঁছে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে ভাসানচর প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩) উপপরিচালক কমান্ডার এম আনোয়ারুল কবির বলেন, ‘চতুর্থ ধাপে (প্রথম অংশ) হাজার খানেক রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে রওনা দিয়েছেন। দুপুরে আরও হাজার খানেক রোহিঙ্গা উখিয়া ছেড়েছেন। এবার ৩-৪ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্বেচ্ছায় আসতে রাজি হয়েছেন।’
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. সামছু-দৌজা জানান, চতুর্থ দফায় রবিবার ৩৭টি বাস নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে উখিয়া ছেড়েছে। সোমবার আরও দুই হাজারের মতো রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের সাথে ১০ কোটি ডলারের অনুদান চুক্তি
রোহিঙ্গা সংকট: দ্বন্দ্ব নয়, শান্তিপূর্ণ সমাধান চান প্রধানমন্ত্রী
গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছান। সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি সকালে এক হাজার ৭৭৮ রোহিঙ্গা নতুন করে ভাসানচরে যান। এছাড়া অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা ৩০৬ জন রোহিঙ্গাকে গত মে মাসে ভাসানচরে নিয়ে যায় সরকার।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে আশ্রয় নেয়াসহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে বাস করছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা স্থানান্তরকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করতে ঢাকার আহ্বান