সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার সদর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালাউদ্দিন আহমেদ (৩৫) ঢাকার আলুবাজারের মৃত শাহাবউদ্দিনের ছেলে। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকার আতাউর রহমান আতা মেম্বারের বাড়িতে স্ত্রীসহ ভাড়ায় থেকে স্থানীয় স্কটেক্স অ্যাপারিয়াল কারখানার গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতের স্ত্রী পারুল আক্তারের অভিযোগ, স্বামী সালাউদ্দিনকে সাথে নিয়ে ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান পারুল।
রবিবার তারা ময়মনসিংহ থেকে ‘আলম এশিয়া’ পরিবহনের বাসযোগে কর্মস্থল গাজীপুরে ফিরছিলেন। পথে তার স্বামীর সাথে ভাড়া নিয়ে পরিবহনের সহকারীর বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বাসের ভেতরেই সালউদ্দিনকে মারধর করে পরিবহনের সহকারী এবং লাথি মেরে তাকে ফেলে দেবে বলে হুমকি দেয়।
ভয় পেয়ে সালাউদ্দিন তার ভাই জামালকে ফোনে বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়াতে বলেন। পরে জামাল আরও ৫-৬ জন লোক নিয়ে বাঘের বাজার দাঁড়িয়ে থাকেন। তবে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা স্বজনরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সালাউদ্দিনকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়। কিন্তু তার স্ত্রীকে নিয়ে বাস চলে যেতে থাকে। স্ত্রীকে না নামিয়ে বাস চলে যেতে থাকলে সালাউদ্দিন দৌড়ে বাসটির সামনে গিয়ে গতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় চালক বাসটি সালাউদ্দিনের ওপর উঠিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে দ্রুত গতিতে বাসটি নিয়ে সটকে পড়েন চালক।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানা পুলিশের সহায়তায় বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও তার সহকারীরা পালিয়ে গেছে। থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।’