মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন।
তৃণমূল ছাত্রলীগের আয়োজনে ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সহ সভাপতি তৌয়বুর রহমান বলেন, ‘৪ বছর আগে ২০১৫ সালের ৯ মে গঠিত এক বছর মেয়াদী কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নতুন করে কোনো সম্মেলন হচ্ছে না। ছাত্রলীগের অবৈধ কমিটি ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কোনো কার্যক্রম বা কর্মসূচি পালন করতো না।’
তিনি বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম চৌধুরী পাপন ব্যবসায়ীকে অস্ত্র ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে গেছে। যার মামলা নং ৫০২/১৯। এছাড়া জাতীয় শোকের মাস ১৫ আগস্ট বিএনপির নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ চেয়ারম্যানের মেয়েকে অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যায়। মামলা নং জিআর ৫৬৮/১৮। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে দুটি নারী নির্যাতন, দুটি চাঁদাবাজি মামলাসহ বহু অভিযোগ রয়েছে।’
ছাত্রলীগের এই নেতা আরও অভিযোগ করেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মাহামুদের বিরুদ্ধেও অভিযোগের শেষ নেই। মাদকাসক্ত রিয়াজ মাহামুদ ভোলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নের এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলা নং জিআর ৪৪৪/১৭। এছাড়া হত্যা মামলা পর্যন্ত রয়েছে যার নং ২৬/১১ তারিখ ১৯.১.২০১১। তার বিরুদ্ধেও নারী নির্যাতনসহ মোট চারটি পৃথক মামলা রয়েছে।’
তিনি বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রুবেলকে স্ত্রী খুনের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় আজীবনের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতারা বহিষ্কার করেন।
অভিযুক্ত এসব নেতারা ছাত্রলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন এমন দাবি করে ওই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটির জন্য সম্মেলন আহ্বানের দাবি জানান আন্দোলনকারী ছাত্র নেতারা।
নেতা-কর্মীরা আরও বলেন, সঠিক সময়ে কমিটি গঠন না হওয়ায় তাদের বয়স চলে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের র্শীষ নেতাদেরকে কমিটি ভেঙে নতুন করে কাউন্সিল দেয়ার কথা জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদুল আলম, সাবেক ছাত্রলীগ সম্পাদক আক্তার হোসেন, জাকির হোসেন অমি, হাসিব মাহামুদ, নেয়াজ শরীফ কুতুব, আল ফকিদ, মার্সেল প্রমুখ।
পরে ছাত্রলীগ নেতারা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।