এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির বাড়িসহ স্থানীয় দুটি গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মহসিন খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আবুল কালামের বড় ছেলে গার্মেন্টকর্মী স্ত্রী সম্প্রতি ঢাকা থেকে লালমোহনে নিজ বাড়িতে আসেন। এরপর গত ৫ দিন ধরে আবুল কালাম জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ভোলা নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তবে প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কোনোরকম সুরক্ষা ছাড়াই কালামকে শুক্রবার সন্ধ্যায় দাফন করা হয়। এ ঘটনায় উপজেলার চরউমেদ ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের গুচ্ছগ্রাম ও ৩ নং ওয়ার্ডের কাশ্মীর গ্রাম ও ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের দুটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
মৃত্যুর আগে আবুল কালামকে লালমোহন হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই নমুনা পরীক্ষার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। এছাড়া দেশে এ পর্যন্ত মোট ৪২৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার।