এদিকে ঢাল চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, সকাল থেকে ঝড়ো বাতাস বইছে। বৃষ্টিতে কয়েক ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার প্রায় ওই এলাকার ৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হলেও সেখানকার আরও প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এরইমধ্যে পানি প্রবাহিত হচ্ছে রাস্তার ওপর দিয়ে।
অপরদিকে কুকরী মুকরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাশেম জানান, বুধবার সকাল থেকে ওই ইউনিয়নের চর পাতিলা এলাকা ৪-৫ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সেখানে প্রায় ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
ভোলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, জেলার চরফ্যাসন, মনপুরাসহ দুর্গম এলাকার চরাঞ্চল থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষ ও ১ লাখ ৩৬ হাজার গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। এছাড়া করোনার সংক্রমণ রোধে প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় নগদ ৭ লাখ টাকা ও ২০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি চরাঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে কোস্টগার্ড, পুলিশ, রেডক্রিসেন্ট ও সিপিপির ১০ হাজার ২০০ স্বেচ্ছাসেবী কর্মী।