মঙ্গলবার রাতে কোলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এর আগে গত ৭ নভেম্বর ধর্ষণের শিকার হয় কিশোরী।
আটককৃতরা হলেন- ফজল আহমদের পুত্র হাসান (২০), ইদ্রিসের পুত্র মোহাম্মদ মাসুদ (২০) ও লেদু আহমদের পুত্র মোহাম্মদ ওসমান (২৮)।
পালাতকরা হলেন- জালাল আহমদের পুত্র মঞ্জুর আলম (২২), মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ সুমন (২৭) ও মোহাম্মদ এরফান (২৮)।
তাদের সকলের বাড়ি উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের বাণীগ্রামে। অভিযু্ক্তরা পেশায় সিএনজিসহ বিভিন্ন গাড়ি চালক বলে জানা গেছে।
পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা ইউনিয়ন থেকে পটিয়া উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নে তিতা গাজির মাজার জিয়ারত করতে যায় তিন কিশোরী ও দুই কিশোর। পরে রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে জঙ্গলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এরপর অপর এক কিশোরীকে অপহরণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তারা। পরে অপহৃত কিশোরীকে জঙ্গলে নিয়ে অভিযুক্তরা ধর্ষণ করে। রাত ৩টার দিকে বিবস্ত্র অবস্থায় দুই সিএনজি চালক সিএনজি করে ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়, বলেন ওসি।
তিনি বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কোলাগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহমদ নুর জানান, কিশোরীর মা ঘটনা সম্পর্কে গত সোমবার তাকে অবহিত করেন। এরপর তিনি কৌশলে ধর্ষকদের নাম ঠিকানা নিয়ে বৈঠকের নামে এক স্থানে জড়ো করেন। এরপর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।