এদিকে, মাদারীপুর সদর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদী তীরের গ্রামগুলোর শত শত ঘর বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ওই এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আড়িয়াল খাঁ নদীর পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ও পদ্মার নদীর পানি ৬২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শিবচর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জানান, উপজেলার পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর চরাঞ্চলের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। এখানকার ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলার ৩ হাজার ৬০০ পরিবারের মধ্য সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এখানকার পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে স্কুল ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক সেন্টার ও হাট-বাজার।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে বন্দরখোলা ইউনিয়নের এসইএস ডিপি মডেল স্কুলটির বড় অংশ পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। ভঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, একটি বাজার, কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ পর্যন্ত মাদারীপুরে ৫০টি এবং শিবচরে ৪৫০টি ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তবে, শিবচরে ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ও ডাম্পিং কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চিপ হুইপ নুর-ই আলম লিটন চৌধুরীর নির্দেশে বর্ন্যাতদের মধ্য সহায়তা ও খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদের পক্ষ থেকে শনিবার শিবচরে বন্যা ও নদী ভাঙন কবলিত ১৫০টি পরিবারের মাঝে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, এক লিটার তেল, এক কেজি চিনি, ১টি লুঙ্গী, ১টি শাড়ী, ২টি সাবান ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়।