শুক্রবার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘিওর উপজেলার কেল্লাই গ্রামের আব্দুল মাজেদ (৫৫) ও সদর উপজেলার হাটিপাড়া গ্রামের স্বপন কুমার মন্ডল (৫০) বুধবার মধ্যরাতে এবং মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী জরিনা বেগম (৫০) একই দিন সন্ধ্যায় মারা যান। তারা সবাই শ্বাসকষ্ট ও কাশিতে আক্রান্ত ছিলেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার কারণে আব্দুল মাজেদের দাফন বিশেষ ব্যবস্থায় করা হয়। একই সাথে তার বাড়ি লকডাউন এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়। কিন্তু এখন তার নমুনার ফল নেগেটিভ আসায় লকডাউন খুলে দেয়া এবং কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের মুক্ত ঘোষণা করে মাইকিং করা হয়েছে।
সদর উপজেলার স্বপন কুমার এবং পৌর এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মী জরিনার বাড়ির লকডাউনও খুলে দেয়া এবং সেখানে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
মানিকগঞ্জে এ পর্যন্ত মোট ২১ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে পৌর এলাকার তিন বাড়ির আটজনসহ তিনজন চিকিৎসক, দুজন স্বাস্থ্যকর্মী ও দুজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।