দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-বর রনি আহমেদ (১ মাস), কনের পিতা দেলোয়ার হোসেন (৬ মাস) ও কাজীর সহকারী মামুনুর রশিদ (৬ মাসের কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড)।
সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর থানার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার নৌগাঁও গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মুদি দোকানের কর্মচারী রনি আহমেদের (২২) সাথে একই উপজেলার গোয়ালদি গ্রামের ১১ বছরের একটি শিশুর বিয়ের আয়োজন করে পরিবারের লোকজন।
অপ্রাপ্ত ওই কনেকে অ্যাডভোকেট রওশন আলী ও শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে এফিডেভিট করে প্রাপ্ত বয়স্ক দেখানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে একটি মাইক্রোবাসের ভেতরে বাল্যবিয়ে আয়োজন করা হয়।
খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মো. হারেজ শিকদার সেখানে গিয়ে হাজির হন ও বাল্যবিয়ে বন্ধ করে এর সাথে জড়িতদের আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারককে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্তদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপ্রাপ্ত ওই কনেকে তার খালার জিম্মায় দিয়েছে আদালত।