দণ্ডপ্রাপ্ত শাহাদত হোসেন সাধু জেলার দৌলতপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের লতিফ শেখের ছেলে।
মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন।
মামলার রায়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর রাতে শাহাদত হোসেন সাধু তার স্ত্রীর বোনের মেয়ে (ভাগ্নি) আঁখি আক্তারকে (১৪) সাভারের মায়ের বাড়ি থেকে নানির বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে দৌলতপুরের শ্যামপুরে গ্রামে একটি পরিত্যক্ত ডিপ মেশিন ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে গলাটিপে হত্যার পর লাশটি পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে।
এই ঘটনায় পরেরদিন শিশুর মা বাদী হয়ে সাধুকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ সাধুকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই আবদুল হাই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি নুরুল হুদা রুবেল বলেন, ‘এই রায়ে বিচারের সঠিক প্রয়োগ হয়েছে। কোনো মানুষ এমন জঘন্যতম কাজ করতে সাহস করবে না।’