সোমবার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. লুৎফর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের ওই ব্যক্তি নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত কয়েক দিন ধরে সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর রাত ১১টার দিকে বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে রাতেই তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ঢাকার সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া ওই শ্রমিকের পরিবারের অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, দুপুরে স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের উপস্থিতিতে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে মৃত ব্যক্তির দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের দু-তিন বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ইটভাটা শ্রমিক বাদে আগের ছয়জনের কেউই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।