৭-৮ জনের ডাকাতদের একটি দল শনিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে আটক রেখে ১০০ ভরি স্বর্ণ ও ৫ লাখ টাকা লুট করে নেয়।
রবিবার সকালে পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, ডাকাতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে, জেলার সব চেকপোস্টগুলোকে সর্তক রাখা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, রাত ৩টার দিকে ডাকাত দল প্রথমে ভবনের দ্বিতীয় তলায় গ্রিল ছাড়া থাইগ্লাস দিয়ে আটকানো জানালা দিয়ে কোনোভাবে একজন ভেতরে ঢোকে। পরে ঘরের ভেতরে ঢোকার দরজা খুলে দিলে আরও ৭-৮ জন ডাকাত ভেতরে ঢুকে চেয়ারম্যানের বড় ছেলে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান রাজীবকে মারধর করে বেঁধে ফেলে। তার কক্ষে লুটপাটের পর রাজিবকে দিয়েই অস্ত্রের মুখে মেয়ের অসুস্থতার কথা বলিয়ে কৌশলে রাজনের দরজা খোলায় এবং লুটপাট করে। এরপর নিচতলার আনিস-উজ-জামানের কক্ষে এসে সেখানেও লুটপাট চালায়। পরে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা ৫ লাখ নগদ টাকা ও ১০০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গোপন দরজা দিয়েই পালিয়ে যায়।
উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমী রাজন জানান, ডাকাতদের ভাষা ছিল ফরিদপুর-শরীয়তপুর এলাকার। ডাকাতরা স্থানীয় যাদের সহযোগিতা নিয়ে ডাকাতি করেছে, হয়তো তাদের সাথেই আত্মগোপন করে আছে। সঠিক তৎপরতা থাকলে ডাকাতদের ধরা যাবে।
আনিস-উজ-জামান আনিস সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সর্বশেষ কমিটির নির্বাচিত কমান্ডার এবং মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।