সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লৌহজং উপজেলার কনকসার বটতলা গ্রামের বাহ্মনগাঁও উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে হলদিয়া সাতঘড়িয়া কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।
এ দুর্ঘটনায় সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন- বর রুবেল ব্যাপারীর বাবা আবদুর রশিদ ব্যাপারী (৬০), বরের বোন লিজা আক্তার (২২), লিজার মেয়ে তাবাসসুম আক্তার (৪), বরের বড় ভাইয়ের স্ত্রী রুনা আক্তার (২২), রুনার ছেলে তাহসান (৩), বর রুবেলের মামাতো বোন রানু আক্তার (১২), প্রতিবেশী কেরামত আলী (৭০), প্রতিবেশী মফিজুল ইসলাম (৬০) ও চালক বিল্লাল হোসেন (২৮)। এছাড়াও বরের খালাতো ভাই শ্রীনগরের ছনবাড়ির জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
দুর্ঘটনা কারণ জানতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়কে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শ্রীনগরের ইউএনও, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, বিআরটির সহকারী পরিচালক, শ্রীনগর থানার ওসি, হাসাড়া হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্য এবং স্থানীয় ষোলঘর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, কমিটি আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ও যাত্রীবাহী বেপরোয়া বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ১৩ জন।