তারা হলেন- জেলার গাংনী পশু হাসপাতাল পাড়ার মৃত আব্দুল গনির স্ত্রী জোবাইদা খাতুন (৭২) এবং বাওট গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম (৭০)।
জানা গেছে, মৃত জোবাইদা খাতুনের পুত্রবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী ফারহানা ইয়াসমিন ৩ জুলাই প্রথমে করোনা আক্রান্ত হন। পরে সোমবার তার মেয়ে নুসরাত জাহান ও দেবর আখতারুজ্জামান চঞ্চল আক্রান্ত হন। ওই দিন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিনের শাশুড়ি জোবাইদা খাতুনের নমুনা সংগ্রহের জন্য গেলেও তিনি দিতে রাজি হননি। সর্দি, কাশি ও হালকা জ্বর নিয়ে তার মৃত্যু হয়।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এম রিয়াজুল আলম জানান, মৃত্যুর পর জোবাইদা খাতুনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মুত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
অন্যদিকে, বাওট গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম শ্বাসকষ্ট ও ঠাণ্ডা জ্বরে ভুগছিলেন। কয়েকদিন আগে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মুত্যু হয়।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং জোবাইদা খাতুনকে ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মীরা স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দাফন করবে।