নিহত শাহনাজ বেগম (২২) শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার কোয়ারপুর গ্রামের শামসু শেখের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে একই এলাকার আবু তালুকদার ফজরের নামাজ পড়তে যাওযার সময় ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী রাসেল দেওয়ান পলাতক রয়েছেন।
নিহতের বড় বোন সুবর্ণা বেগম বলেন, মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্কের পর এক বছর আগে নেত্রাবর্তী গ্রামের মুজিবুর দেওয়ানের ছেলে রাসেল দেওয়ানের সাথে বিয়ে হয় শাহনাজের। কিন্তু এর আগে আরও একটি বিয়ে করলেও শাহনাজকে গোপন করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আগের বৌ, শাশুড়ি শাহনাজকে বাড়িতে উঠতে না দেয়ায় আমার বোনকে নিয়ে ঢাকার কামরাঙ্গীর এলাকায় বসবাস করত রাসেল। ৩ মাস আগে গ্রামে ফিরে আসে তারা। কিন্তু শাহনাজের শাশুড়ি তাকে বাড়িতে উঠতে না দিয়ে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়। গত বুধবার পুনরায় বাড়ি ফিরলে তার স্বামী ও শাশুড়ি মিলে তাকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।’
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম রসুল জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।