গ্রামের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে নিজেরাই মঙ্গলবার সকাল থেকে পুরোপুরি লকডাউন শুরু করে।
গ্রাম দুটির ছয়টি প্রবেশ পথে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়। একই সাথে গ্রামজুড়ে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি প্রবেশ পথে রাখা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এছাড়া গ্রামে অন্য এলাকার কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। আবার যৌক্তিক কারণ ছাড়া কাউকে গ্রাম থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা অমরেশ বিশ্বাস বলেন, ‘বাইরে থেকে অনেক লোকজন আমাদের গ্রামে এসে ঘোরাঘুরি করে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। তিনি বাইরের লোকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে বলেন। আমরা বোয়ালিয়া গ্রামের দুটি প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাইরের কাউকে গ্রামে ঢুকতে দেবো না।’
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া আফরোজ এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান। যৌক্তিক কারণ ছাড়া ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা যায় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে বোয়ালিয়া গ্রামের মতো নওয়াপাড়া গ্রামকেও লকডাউন করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রওশন ইজদানী জানান, নওয়াপাড়া গ্রামের চার প্রবেশ পথ দোয়াল এলাকা, বটতলা এলাকা, বাহারুল ডাক্তারের দোকান এলাকা এবং কালুডাঙ্গা এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করেছেন স্থানীয় যুবকেরা।
দোহাকুলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার বলেন, ‘প্রতিদিন বাইরের লোকজন এই দুই গ্রামে এসে ভিড় করে আড্ডাবাজি করছে। বিষয়টি কয়েকজন যুবক আমাকে জানায়। আমি তাদেরকে বলেছি বাইরের লোকজন প্রবেশে বাধা দিতে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আফরোজ বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। কে বা কারা এটা করল আমি খোঁজ নিচ্ছি।’