পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী বাড়ির পাশে টিউবঅয়েলে পানি আনতে যাওয়ার পথে জাহিদ নামে এক যুবক তার পথ রোধ করে এবং জোরপূর্বক স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
ঘটনা জানতে পেরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাতেই ধর্ষক জাহিদকে গ্রেপ্তার করেছে। সে হরিহরনগর ইউনিয়নের দশানী গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।
মণিরামপুর থানার এসআই আবদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা অভিযোগ করে জানান, বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষকের পিতা এবং তার চাচা ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তারা মোটা অংকের টাকারও প্রস্তাব করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার জানান, ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জাহিদ ও তার অভিভাবকরা বহু চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরীর মা ধর্ষক জাহিদ হাসানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই কিশোরীকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।