তারা হলেন- মেইন রোড এলাকার মুদি দোকানি তাপস সাহা (৫৮) ও তালতলা এলাকার লক্ষ্মী রানি (৮০)।
করোনা পজেটিভ তাপস খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
করোনার উপসর্গ নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেন লক্ষ্মী রানি।
যশোর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা ডা. রেহেনওয়াজ জানান, ৩ জুলাই তাপস সাহার করোনা শনাক্ত হয়। এর আগে ১ জুলাই অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ নিয়ে রবিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট ১৪ জনের মৃত্যু হলো।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, লক্ষ্মী রানিকে শনিবার সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রবিবার সকাল ৮টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এ পর্যন্ত হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মোট ১৯ নারী-পুরুষ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন। এর মধ্যে পরে নমুনা পরীক্ষায় পাঁচজনের করোনা শনাক্ত হয়।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি:
এক দিনে আরও ৫৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া আরও ২৭৩৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা জানান, ৬৮টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৬৪টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৩ হাজার ৯৮৮টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬২টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৩৮ জনসহ দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জন। নতুন করে আরও ৫৫ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৫২ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা উপসর্গ নিয়ে কুমেক হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু
নতুন করে মারা যাওয়া ৫৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৭ এবং নারী ১৮ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন এবং বাড়িতে ১৪ জন। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ১৯ জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯০৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৬২৫ জন। সুস্থতার হার ৪৪.৭২ শতাংশ।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।