ভুক্তভোগী সানোয়ার মোল্লা জানান, তার চাচাত ভাই ও বাঘারপাড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মশিয়ার রহমানের সাথে চাষাবাদের ৩৮ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের মতো ভোগ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু তা সত্ত্বেও মশিয়ার রহমান তার রোপণ করা ধান কেটে নিয়ে গেছে এবং আট শতক জমি নিয়ে বাকি ৩০ শতক ছেড়ে দিতে হুমকি দিচ্ছে।
তবে এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এলাকার প্রভাবশালীদের সাথে নিয়ে এখন মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে সানোয়ার মোল্লার বসতবাড়ির রাস্তা ঘিরে রেখেছেন মশিয়ার রহমান। এর আগেও একবার রাস্তা বন্ধ করেছিল মশিয়ার। পরে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে রাস্তা পুনরুদ্ধার করা হয়।
মীরপুর গ্রামের বাসিন্দা মুন্সি বাহার উদ্দিন বলেন, বসতবাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দেয়া অন্যায়-অমানবিক। এ বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, ‘সানোয়ারের সাথে জমিজমা নিয়ে আমার চাচাত ভাই মশিয়ারের ঝামেলা আছে। আমার জায়গা আমি কী করবো সেটা আমার ব্যাপার।’
সাবেক পৌর কাউন্সিলর মশিয়ার রহমান বলেন, ‘রাস্তা ঘেরার সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই। সানোয়ারের সাথে আমার জমিজমা নিয়ে ঝামেলা আছে। সে দেড় বছর আমার জমি জবরদখল করে রেখেছিল। পৌরসভার মেয়র, থানা পুলিশ সবাই এ বিষয়ে অবগত আছেন।’
স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর খবির উদ্দিন বলেন, ‘এ ব্যাপারে সানোয়ার আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তবে আমি যতদূর জানি, গাছ লাগানোর জন্য ওই জায়গা ঘেরা হয়েছে।’
বাঘারপাড়া পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘বিষয়টি পুলিশ জানে। তবে আমি ৩/৪ মাস আগে দুই পক্ষের সাথে বসে বিষয়টি মীমাংসা করেছিলাম। নতুন করে সানোয়ারের বসতবাড়ির রাস্তা ঘেরাও হয়েছে কিনা জানি না।’
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। তবে কেউ আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসলে তা গুরুত্বের সাথে দেখব।’
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ বলেন, ‘আমার কাছে কেউ এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’