এ নিয়ে গত ৬ দিনে মোট আটটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হলো বলে জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু মাউদ জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে সিলগালা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আধুনিক হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক কার্যক্রম, মনিরামপুর উপজেলার মুন হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (হাসপাতাল মোড় শাখা), নিউ প্রগতি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মুন হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (কুয়াদা শাখা)।
অবৈধ প্রতিষ্ঠানের তালিকা সম্পর্কে ডা. আবু মাউদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াই চিকিৎসাসেবা, অস্ত্রোপচার ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম চালানোই এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই। কর্তৃপক্ষ অনলাইনে আবেদন করেই কার্যক্রম শুরু করেছে। আর ১০৬টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও নবায়ন করা হয়নি। হালনাগাদ লাইসেন্স রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা মাত্র ৫১টি।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন আরও জানান, জেলার মোট ২৬২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের মধ্যে যশোর শহর ও সদর উপজেলায় রয়েছে ৬৮টি। যার অর্ধেকের বেশি অবৈধভাবে চলছে। এছাড়া লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে সাতটি নতুন প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ।
অবৈধ প্রতিষ্ঠানকে কোনোভাবেই কার্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ দেয়া হবে না জানিয়ে ডা. আবু মাউদ বলেন, পর্যায়ক্রমে সবগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে।