তারা হলেন- জামির আহমেদের ছেলে আবুল করিম (২৪) ও সাইদ হোসেনের ছেলে নেসার আহমেদ ওরফে নেসার ‘ডাকাত’ (২৯)। তারা নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করতেন।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা জাদিমুরা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।
ওসির দাবি, উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এক পর্যায়ে দুই রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানে করিম ও নেসারের মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধারের কথাও জানান ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরায় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক (৩০) গুলি করে হত্যা করা হয়। তার পরিবারের দাবি, একদল রোহিঙ্গা ফারুককে তার বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।
এরপর থেকে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা নূর মোহাম্মদ (৩৪) সহ পাঁচ রোহিঙ্গা কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে। যারা নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেক রোহিঙ্গারাই শরণার্থী ক্যাম্পের আশেপাশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।