তাদের মধ্যে থেকে ইতোমধ্যে ২১ জনকে রবিবার কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস রোগের বিস্তার রোধে কারাগারগুলোতে চাপ কমাতে সরকার লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম পর্যায়ে রাজশাহীর ৩৩ জন কয়েদিকে ছেড়ে দেয়ার জন্য গত শনিবার চিঠি এসেছে। যাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ এক বছর কিন্তু ছয়মাস বা তারও বেশি সাজা খেটেছেন এমন কয়েদিদের ৩৩ জনের মধ্যে ২১ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকিরাও চলে যাবেন দু’একদিনের মধ্যে।
কারাগারের এ কর্মকর্তা জানান, সরকার শুধুমাত্র কারাদণ্ড মওকুফ করেছে। তবে জরিমানা মওকুফ নয়। যাদের অর্থদণ্ড ছিলো না তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর ১২ জনের অর্থদণ্ড পরিশোধ করা নেই বলে তারা যেতে পারছেন না। বন্দিদের স্বজনরা ব্যাংকে জরিমানার টাকা জমা দিলেই বাকি ১২ জনকে ছেড়ে দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা এক হাজার ৪৫০ জন। তবে, এ কারাগারে হাজতি এবং কয়েদি মিলিয়ে ৩ হাজার ৬১০ জন বন্দী রয়েছেন।