বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে করোনা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষের রাজশাহী আসার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে আসা দুই ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাই সিভিল সার্জনের সুপারিশ এবং জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সকল সংস্থার মতামতের ভিত্তিতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য রাজশাহী জেলাকে লকডাউন করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন বহাল থাকবে।
লকডাউন চলাকালে সাথে অন্য জেলার কেউ রাজশাহীতে প্রবেশ ও বের বের হতে পারবেন না। সকল ধরনের গণপরিবহন ও জনসমাগম বন্ধ থাকবে।
তবে জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষিপণ্য-খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং, ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও কর্মী লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভা শেষে রাজশাহীতে অঘোষিত লকডাউন শুরু হয়। রাজশাহী জেলায় প্রবেশ এবং বের হওয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয় সেদিন থেকেই। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও নানা কৌশলে রাজশাহী আসছিলেন মানুষ।
এরই মধ্যে ঢাকা থেকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় আসা এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয় গত রবিবার। আর নারায়ণগঞ্জ থেকে জেলার বাগমারায় আসা আরেক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয় সোমবার।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে দেশে নতুন করে সাতজনের মৃত্যু হওয়ায় মঙ্গলবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ জনে। এছাড়া দেশে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।