প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশের আশ্বাসে এলাকাবাসীরা অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষুব্ধরা জানান, কয়েকদিন আগে নগরীর মতিহার থানার মির্জাপুর ফুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আসলামের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুধবার সকালে স্থানীয় মনির, শান্ত ও রাজা নামে তিনজনকে আটক করা হয়।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, আটককৃতরা চুরির সঙ্গে জড়িত নয়। এলাকাবাসী তাদের ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে দিনভর চলে চাপা উত্তেজনা।
পরে বিকাল ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট ও আইবিএর মাঝে মির্জাপুর এলাকায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় অবরোধকারীরা লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নেয়। বিক্ষুব্ধ নারীরাও এতে যোগ দেন। তাদের বাধায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
এসময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের নির্দেশে পুলিশের মতিহার জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার একরামুল হকসহ একাধিক টিম গিয়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় অবরোধকারীরা পুলিশের সাথে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শহিদের নেতৃত্বে বিক্ষুব্ধরা এসআই আসলামের বিরুদ্ধে নানা ধরনের হয়রানির অভিযোগ তুলে তাকে অপসারণের দাবি জানান। পুলিশের আশ্বাসে প্রায় এক ঘণ্টা পর তারা অবরোধ তুলে নেয়।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, মির্জাপুর ফাঁড়ির এসআই আসলামের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ তুলে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। পরে পুলিশের আশ্বাসে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়। এসআই আসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।