এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও তিনজন মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে শুক্রবার ভোর ৪টার মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতরা হলেন- মহানগরীর শাহমখদুম থানার জিয়াপার্ক এলাকার সেলিম মৃধা (৫০) ও রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান মাহাবুবে খোদা (৫০)।
উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃতরা হলেন- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মহানগরীর মহিষবাথান এলাকার এখলাসুর রহমান (৪০), নগরীর রামচন্দ্রপুর এলাকার আশরাফ আলীর স্ত্রী শামীমা বেগম (৪৮) এবং তেরোখাদিয়া এলাকার মেরাজুল ইসলাম (৪০)।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শামীমা বেগম জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পর করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান শাহমখদুম এলাকার ব্যবসায়ী সেলিম মৃধা। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
এরপর রাতে সোয়া ১২টার দিকে মারা যান এখলাসুর রহমান। তিনি উপসর্গ নিয়ে ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।
রাত পৌনে ২টার দিকে ২৯ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে মৃত্যু হয় নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান মাহাবুবে খোদার। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। একই ওয়ার্ডে ভোর রাত ৪টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান মেরাজুল ইসলাম।
রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে করোনা আক্রান্ত দুজনের মৃত্যু হওয়ায় রাজশাহীতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ জনে। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯১০ জন। এর মধ্যে রাজশাহী সিটি এলাকায় ৬৫০ জন। জেলা ও মহানগরে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১৪ জন।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, রাজশাহী বিভাগে আট জেলার মধ্যে সাত জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ দিন কোনো করোনা শনাক্ত হয়নি। এ পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৭৩ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৮৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৭৯ জন।