সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কারাগারের মূল ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে রবিবার রাতে ওই ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কারাগার কর্তৃপক্ষ।
কারাগার সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে লালমনিরহাট কারাগারের জেল সুপার ও জেলা প্রশাসককে একটি উড়ো চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে কারাগার উড়িয়ে দিয়ে সাথী ভাইদের ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। চিঠিটি আমলে নিয়ে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে প্রশাসন। এরই মধ্যে শনিবার বিকালে জেল সুপার কিশোর কুমার নাগকে একটি টেলিটক নম্বর থেকে ফোন করে একইভাবে হুমকি দেয়া হয়।
বলা হয়, যেকোনো মূল্যে জেলখানা থেকে তাদের সাথী ভাইদের মুক্ত করা হবে। কারাগার উড়িয়ে দেয়া হবে । মোবাইল ফোনে এমন কলের পরপরই কারাগারের রাস্তাসহ আশপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। হঠাৎ নিরাপত্তা জোরদার হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, গোপনীয়তার স্বার্থে এ বিষয়ে এখন তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না। সিনিয়র অফিসারদের সাথে কথা বলে জানানো হবে।
লালমনিরহাট কারাগারের জেল সুপার কিশোর কুমার নাগ বলেন, জিডি আমাদের নিরাপত্তার একটি অংশ। সারাদেশে জেলখানার নিরাপত্তা সব সময় থাকে। নিরাপত্তার বিষয়গুলো ডিসকাস করা হয় না।
তিনি আরও বলেন, ১৯০ জনের ধারণক্ষমতার এ কারাগারে এখন পর্যন্ত ৪৬৬ জন আসামি ও কয়েদি রয়েছেন। যার মধ্যে নাশকতার বিভিন্ন মামলায় জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য ২০ জন বন্দি রয়েছে এ কারাগারে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, ‘হুমকি দিয়ে গত সপ্তাহে আমার কাছে ও জেল সুপারের কাছে একটি করে চিঠি আসে। এরপর জেল সুপারকে মোবাইলে হুমকি দেয়া হলে জিডি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কারাগারে নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’