বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদের কাছে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফিরোজ মাহমুদ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ জানান, ৫টি সুপারিশ সম্বলিত ২৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। দুর্ঘটনার দিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ছাড়াও পুলিশ ও রেলওয়ের কর্মকর্তা ছিলেন। তদন্ত শেষে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্য প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়৷ কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ বের করেছে। প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রতিবেদনে প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে লুপ লাইনে ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে রেললাইনের স্টক রেল ও টাং রেল দুটি লক থাকার কথা ছিল, কিন্তু সেখানে লক ছিল না। দুটো লাইনের মাঝখানে ফাঁকা ছিল। যে কারণে ট্রেনের ইঞ্জিন সেখানে এসে লাইনচ্যুত হয়েছে। এছাড়াও দুর্ঘটনার আরও কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পরে তারাই প্রকাশ করবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার আগে এর ইঞ্জিনসহ ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগিতে আগুন ধরে যায়। এ দুর্ঘটনায় আহত হন অন্তত পাঁচজন। এ ঘটনার তদন্তে রেল বিভাগ তিনটি ও জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।