তিনি নড়িয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী ও নড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি।
নড়িয়া থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, নড়িয়ার পদ্মা নদী থেকে খননযন্ত্র দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন মোস্তফা সিকদার। মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নড়িয়া উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রাশেদুজ্জামান ওই খননযন্ত্রটি জব্দ করেন। এছাড়া বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত আট ব্যক্তিকেও আটক করেন তিনি।
দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল নড়িয়া লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছালে মোস্তাফা সিকদার ও তার ভাই সুমন সিকদারের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা ওই দলকে অবরুদ্ধ করে পাঁচ আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা সিকদারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সে সময় পুলিশ তার ভাই সুমন সিকদারকে আটক করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ভাঙন ঠেকাতে নড়িয়া লঞ্চঘাট এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ওই ঠিকাদারি কাজটি করছেন মোস্তফা সিকদার। তিনি ওই কাজে ব্যবহারের বালু অবৈধভাবে পদ্মা নদী থেকে উত্তোলন করছিলেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রাশেদুজ্জামান বলেন, নড়িয়ায় পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন করার সময় একটি খনন যন্ত্র জব্দ করি। এ কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটজনকে আটক করি। স্থানীয় এ আওয়ামী লীগ নেতা ওই খনন যন্ত্র ও আটক ব্যক্তিদের ছিনিয়ে নেয়। তিনি বার বার পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের রেফারেন্স দিচ্ছিলেন আর আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছিলেন। পরবর্তীতে তাকে আটক করার নির্দেশ দিলে তিনি পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা করা হবে।
এদিকে মোস্তফা সিকদারের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী নড়িয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে যুক্ত নয়। তিনি নড়িয়া লঞ্চঘাট এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ করছেন।’
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আর ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।