তিনি বলেন, ‘তদবিরবাজরা সাবধান। ঘুষ খাওয়া আর তদবির সমান অপরাধ। অনিয়ম একটা দুর্নীতি। সুতরাং শিক্ষক বদলি বা নিয়োগ নিয়ে তদবির করবেন না। তাহলে হাতকড়া পরতে হবে।’
রাজশাহীতে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশেষ সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক হামিদুল হক।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘গল্পের ছলে বাচ্চাদের পড়ানো সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। এতে বাচ্চারা শিখবে এবং মনে রাখবে। বাচ্চাদের ভয় দেখিয়ে জয় করা সম্ভব নয়। এটা রাজাদের সময়ে ছিল। এখন রাজাদের সময় নয়। গল্পের ছলে আদর করে বাচ্চাদের শেখাতে হবে।’
প্রাথমিকে নৈতিকতার শিক্ষা দিতে না পারলে জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের মনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপদেশ ও শিক্ষা দিতে হবে। প্রাথমিকে যারা সুশিক্ষা পেয়েছে তারা বড় হয়ে দুর্নীতিতে জড়ায় না, যোগ করেন তিনি।
‘নাগরিকের চাপ না থাকলে প্রশাসন বা দুদকও কাজ করবে না। এজন্য সামাজিক চাপ প্রয়োজন। চাপ থাকলে শিক্ষকরাও পড়াবেন। শিক্ষকদের নির্বাচনের কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে না জড়ানোর বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হবে,’ বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব আকরাম হোসেন, প্রথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এএফএম মনজুর কাদির, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুস সালাম।