ভোর ৬ টায় ৪টি ফেরি দিয়ে সীমিত আকারে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে ফেরি সার্ভিস সচল করা হয়। সেইসাথে সকাল থেকে চলাচল শুরু করেছে লঞ্চ ও স্পিড বোটও।
বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে ১৬টি ফেরি চলাচল শুরু হয়। বহরের সব কটি ফেরি চলাচলের কারণে যানবাহন পারাপার হচ্ছে সমানে। এদিকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ এই ঘাটে বেড়ে যাওয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন কমছে না। যাত্রীবাহী বাসসহ পাঁচ শতাধিক যান এখন শিমুলিয়াঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এর আগে বুধবার বৈরি আবহাওয়া এবং নদীতে অস্বাভাবিক ঢেউ থাকায় ওই রুটে ফেরি চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে পদ্মায় প্রবল ঢেউরে কারণে বন্ধ হয়ে যায় ফেরি, লঞ্চ ও স্পিড বোট চলাচল। পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে স্রোতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। এদিকে প্রবল স্রোতে এবং পানি বৃদ্ধির কারণে শিমুলিয়া চারটি ফেরিঘাট ডুবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১ ও ২নং ফেরিঘাটের র্যাম সরে যায়। তাছাড়া ১ ও ২ নং ঘাটের র্যাম ছুটে ও নোঙর ছিঁড়ে ঘাট সংলগ্ন ২টি হোটেল ও ৮টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ৩ নং ফেরিঘাটটি ঠিক করে সীমিত আকারে সার্ভিস সচল করা হয়েছিল। পরে বাকি ফেরিঘাট জরুরি সংস্কার করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট ম্যানেজার আব্দুল আলিম জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়াতে পদ্মায় একটু ঢেউ কমেছে। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফেরি ও অন্যান্য নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। দুপুরে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে বলা যায়।
এদিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জয়েদুল আলম বলেছেন, ঘাটে নিরাপত্তায় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।