সকাল থেকেই ঘাটে ছিল শ্রমিকদের উপচে পড়া ভিড়, যাদের অধিকাংশই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ কিংবা গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন।
দক্ষিণবঙ্গের হাজারো শ্রমিক ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে টানা ছয় দিন ধরে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি ও ট্রলারে করে পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে নামছেন। সামাজিক দূরত্ব না মেনে ফেরি ও ট্রলারে গাদাগাদি করে আসছেন তারা। যাতে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণে ঝুঁকি।
এদিকে, শিমুলিয়া ঘাটে এসে যানবাহনের জন্য বিড়ম্বনায় পড়ছেন এসব শ্রমিক। গণপরিবহন না থাকায় বিকল্প পথে ছোট ছোট যানে ভেঙে ভেঙে শিমুলিয়া থেকে অনেক কষ্ট করে কর্মস্থলে ফিরতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, শনিবার দুপুরে কাঁঠালবাড়ি থেকে শিমুলিয়া ঘাটে এসে নোঙর করা একটি ফেরি থেকে নেমে আসেন শত শত যাত্রী, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পোশাক শ্রমিক। অনেককে ফেরি নোঙর করার আগেই লাফ দিয়ে পল্টুনের ওপর নামতে দেখা যায়। আর এভাবে ঝুঁকি নিয়েই চাকরি বাঁচাতে ছুটছেন শ্রমিকরা।
মাওয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘দক্ষিণবঙ্গের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরি ও ট্রলারে করে সকাল থেকেই শত শত শ্রমিক শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন। ফেরিগুলোতে গাদাগাদি করে যাত্রীদের আসতে দেখা যাচ্ছে। এদের বেশিরভাগই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন পোশাক কারখানার কর্মী।’
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সীমিত আকারে এ নৌরুটে ফেরি চলছে। জরুরি সেবার যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। একই সাথে সাধারণ যাত্রীরাও ফেরিতে পারা হচ্ছেন। তবে গত কয়েক দিনের তুলনায় শনিবার সকাল থেকে কম সংখ্যক যাত্রী পার হতে দেখা গেছে।’