এনিয়ে বুধবার পর্যন্ত জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৪ জনে।
জেলার করোনা ফোকাল পার্সন ও শেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেন জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে মঙ্গলবার রাতে শেরপুরের ৯২ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে।
এতে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের স্ত্রী, ছেলে এবং একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা জজ আদালতের এক পেশকারসহ ১৬ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে শেরপুর সদরের ১২ জন এবং শ্রীবরদীর চারজন রয়েছেন।
তিনি জানান, ৭ আগস্ট পুলিশ সুপারের করোনা শনাক্ত হওয়ার পর তার স্ত্রী-ছেলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, জেলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৬৯টি নমুনা সংগৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ফলাফল পাওয়া গেছে ৪ হাজার ৭৯০টির। এখনও পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে ৭৯টি নমুনা।
সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুর রউফ জানান, ঈদুল আজহার পর শেরপুরে করোনার বিস্তার বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে শেরপুর শহর এলাকায় সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। তিনি করোনা বিস্তার রোধে মাস্ক ব্যবহারসহ কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জেলাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে শেরপুর ‘মাস্ক নাই, সেবা নাই’ কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এ কার্যক্রমের আওতায় মঙ্গলবার প্রতিটি দোকানপাট-বাজার এবং সেবাকেন্দ্রে ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন এবং মাস্ক ব্যবহার করুন, করোনা প্রতিরোধ করুন’ প্রতিপাদ্য লেখা ব্যানার বিতরণ ও দোকানের সামনে টানিয়ে দেয়া হয়।
এছাড়া মাস্ক ব্যবহার না করায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবহন টার্মিনালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। মাস্ক ব্যবহার না করায় মঙ্গলবার বিকালে শেরপুর শহরে চারজনকে ৫০০ টাকা করে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওয়ালীউল হাসান জানান, সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে উৎসাহিত করতে ‘মাস্ক নাই, সেবা নাই’ কার্যক্রম এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
করোনার বিস্তার রোধ এবং সকলকে নিরাপদ রাখতেই এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যোগ করেন ওয়ালীউল হাসান।