এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। তাদের দেহ তল্লাশি করে দেশীয় অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে র্যাব।
আটককৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার শ্যামপুর গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে ও আশুলিয়া থানার কনস্টেবল মো. মমিনুর রহমান, টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ছোনকা গ্রামের মো. আবদুল লতিফের ছেলে আবদুল হামিদ (মাইক্রোবাস চালক), গাইবান্ধা জেলার সদর থানার চৌদ্দগাছা গ্রামের মৃত তফেজল মিয়ার ছেলে ওয়াহেদ এবং জামালপুর জেলার মালন্দ থানার চরগুহিন্দি গ্রামের মো. সরুজ শেখের ছেলে ওয়াজেদ শেখ।
ভুক্তভোগী নুর উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘গত বুধবার রাতে আমার জামগড়ায় নূর মেডিকেল হল নামে ওষুধের দোকানে বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ রয়েছে দাবি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে অভিযুক্তরা। পরে রবিবার গভীর রাতে দাবি করা বাকী টাকা নিতে আসার কথা জানায়। বিষয়টি আশুলিয়ার নবীনগর র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ এ অবহিত করি। পরে র্যাব ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। তারা আসলে তাদের আটক করে।’
এ বিষয়ে র্যাব ৪ (সিপিসি-২) এর কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জমির উদ্দিন বলেন, ‘আগে থেকেই অবস্থান নিয়ে তাদের আটক করি। এরমধ্যে আশুলিয়ার থানার একজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। তাদের তল্লাশি করে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র, জাল টাকা, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ব্যাংকের ১৬ এটিএম কার্ড পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় চাঁদাবাজি, অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুতিসহ ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুইটি মামলা ভুক্তভোগী নুর উদ্দিন ও বাকী দুইটি র্যাব -৪ বাদী হয়েছে।’