নিহতরা হলেন- ধামরাইয়ের ইয়াকুব আলী মোল্লার মেয়ে ও সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী হাফেজা বেগম, একই উপজেলার আটিমাইঠাল গ্রামের মো. রহমান মিয়ার ছেলে শরীফ হোসেন এবং রোয়াইয়ের কৃষ্ণনগর গ্রামের মো. ফজল মিয়ার ছেলে ও সৌদি প্রবাসী আবুল কালাম আজাদ।
সোমবার সকালে ধামরাই রোয়াই ইউনিয়নের ফরিঙ্গা থেকে হাফেজা বেগম নামে কলেজছাত্রী ও আটিমাইঠাল গ্রাম থেকে শরীফ হোসেন নামে যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে কলেজছাত্রী হাফেজা বেগম। অন্যদিকে স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে শরীফ হোসেন।
নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সোমবার ভোরে ধামরাইয়ের রোয়াই এলাকা থেকে সৌদি প্রবাসী যুবক আবুল কালাম আজাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, রবিবার গভীর রাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নিহত সৌদি প্রবাসী আবুল কালাম আজাদের সাথে প্রতিবেশী রোজিনার দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি রোজিনার স্বামী সাইফুল ইসলাম জানতে পারে। পরে স্ত্রীকে দিয়ে কৌশলে তাদের বাসায় আবুল কালাম আজাদকে ডেকে আনে। সেখানে তাকে প্রথমে ছেলেধরা, পরে ডাকাত বলে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আজাদের মৃত্যু হয়।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। এ ঘটনায় পুলিশ রোজিনা ও তার স্বামী সাইফুলসহ ছয়জনকে আটক করেছে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।