তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় সারের জন্য কৃষককে গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সার, বীজের কোনো সংকট হয়নি। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে সারের মূল্য কমিয়ে কৃষকের নাগালের মধ্যে আনা হয়েছে।’
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা কৃষি বিভাগ আয়োজিত ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সার, বীজ, কীটনাশক, আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতিসহ কৃষির সকল ক্ষেত্রে প্রণোদনা ও ভর্তুকি দিয়ে কমমূল্যে কৃষকদের কাছে সরবরাহ ও সহায়তা প্রদান করে কৃষি পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা করে যাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাই সরকার কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষকের নিকট থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করছে।
পেঁয়াজের সংকট নিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা দিয়ে আমাদের চাহিদা মেটে না। তাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ‘দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ালে এমন সংকট আর ভবিষ্যতে হবে না। শিগগিরই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে,’ যোগ করেন তিনি।
বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহমুদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচলাক আবু হানিফ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আলম টবি, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন অর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বোদা উপজেলার ৩৯শ’ কৃষকের মাঝে প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, তিল, গ্রীস্মকালীন ও শীতকালীন মুগ ডাল বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করেন।
পরে তিনি দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে দেবীগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্র প্রান্তীক ৩৬শ’ কৃষকের মাঝে প্রণোদনা প্রকল্পের আওতায় ৪২ লাখ টাকার সার ও বীজ বিতরণ করেন।
এছাড়া ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় দেবীগঞ্জের ১২০ জন ভিক্ষুকের মাঝে গরু ও ছাগল বিতরণ করেন রেলমন্ত্রী।