সোমবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে জেলা সদরের সয়াধানগড়া মধ্যপাড়া মহল্লার আহাদ (২৪) ও কাজিপাড়া গ্রামের ভাষা মণ্ডল (৬৮) মারা যান।
এ নিয়ে বর ও কনেসহ নিহতের সংখ্যা হলো ১১ জন। মঙ্গলবার সকালে স্ব স্ব এলাকার কবরস্থানে নিহতদের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
বরের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া ও কনের গ্রামের বাড়ি উল্লাপাড়া উপজেলার গুচ্ছগ্রামসহ নিহতদের এলাকায় এখন শোকের মাতম চলছে।
নিহত অপর ৯ জন হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে বর রাজন (২৫) ও উল্লাপাড়া উপজেলার গুচ্ছ গ্রামের গফুর শেখের মেয়ে কনে সুমাইয়া খাতুন (২০), এনায়েতপুর গুচ্ছগ্রামের কনের নানী মমতা বেগম (৩৫), সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সয়াগোবিন্দ মিলন মোড় মহল্লার চালক নূরে আলম ওরফে স্বাধীন (৪৫), সরদারপাড়া মহল্লার শরিফ (৩২), সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রামগাঁতী গ্রামের আ. সামাদ (৪৫) ও শাকিল (১৯), কান্দাপাড়া গ্রামের আনিছ (১২), সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণদিয়ার গ্রামের খোকন (২৪)।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে বর রাজন ১৩ জন বরযাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাসযোগে ওই গুচ্ছগ্রামে বিয়ে করতে যান। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বধু সুমাইয়াকে নিয়ে বাড়ি আসার পথে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলপথের উল্লাপাড়া উপজেলার বেতকান্দি নামকস্থানে অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই বর-কনেসহ ৯ জন নিহত হন। পরে রাতে আহত আরও দুজন মারা যান।
এদিকে নিহতদের পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মাদ তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন।