বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার তাবারীপাড়ায় ও বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সলঙ্গা থানার হাঁটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় এসব দুর্ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
তাবারীপাড়ায় নিহতরা হলেন- বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ধর মোকাম গ্রামের ট্রাকচালক আনোয়ারুল (৩৮) ও একই উপজেলার হামছাপুর গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০)। আহত ট্রাকচালকের সহকারী (হেলপার) শাহাদাৎ (৩৬) ধর মোকাম গ্রামের আবুল মজিদের ছেলে।
হাঁটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তারুজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একতা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার তাবারীপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মিনি ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকচালক আনোয়ারুল ও যাত্রী নজরুলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ট্রাকচালকের সহকারী (হেলপার) শাহাদাৎ আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠান। আহত শাহাদাতকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, একই মহাসড়কের সলঙ্গা থানার হাঁটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় খান হোটেলের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসচাপায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের নাম- আব্দুল লতিফ (২৮)। তিনি ওই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে এবং যাত্রীবাহী বিভিন্ন বাসের চেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ওসি আক্তারুজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী জোয়ান এন্টারপ্রাইজের একটি বাস লতিফকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের লাশ উদ্ধার এবং চান্দাইকোনা এলাকা থেকে বাসটিকে জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও জানান হাঁটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি।