চরাঞ্চলরসহ জেলার যমুনা তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১৪ দশমিক ২৫ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে কাজিপুর পয়েন্টে ১৬ দশমিক ৪৪ মিটার, যা বিপদসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার থেকে আগামী তিনদিন পানি কমার সম্ভাবনা থাকলেও, পুনরায় তা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান শফিকুল ইসলাম।
এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম ইউএনবিকে জানান, দ্বিতীয় দফায় চলমান এ বন্যায় জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৫টি ইউনিয়নের ২২৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৪৭ হাজার ৫২০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় ৫৫ কিলোমিটার কাঁচা পাকা রাস্তা ও বাঁধ এবং ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এছাড়া তলিয়ে গেছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
ইতিমধ্যে বন্যা কবলিতদের জন্য ২৬৭ মেট্টিক টন চাল ও ৩৯৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।