রবিবার সকালে সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হযরত শাহজালাল (র:) মাজার এলাকায় পূর্ণাঙ্গ ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইনের সরবরাহ শুরু হয়েছে। একইসাথে এই এলাকার বিদ্যুতের খুঁটিসহ অন্যান্য সার্ভিস লাইনের তারও অপসারণ করা হয়। কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ‘হযরত শাহজালাল (রা:) মাজার এলাকা থেকে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের সফল সরবরাহ চালু হয়েছে। উন্নত রাষ্ট্রের আদলে দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ লাইন থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। তুলে নেয়া হচ্ছে রাস্তার দুপাশের বিদ্যুতের খুঁটি ও অন্যান্য সার্ভিস লাইনের তার। ফলে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্ত হয়েছে শাহজালাল মাজার এলাকা।’
মেয়র বলেন, গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে পরীক্ষামূলক সরবরাহ পর্যবেক্ষণের পর আজ (রবিবার) থেকে পূর্ণ সরবরাহ চালু করা হয়েছে। শাহজালাল মাজার এলাকা থেকে নগরীর কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত পাইলট প্রকল্পে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুতের লাইন চালু করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট সিটি করপোরেশনের সব এলাকায় বাস্তবায়ন করা হবে এই সুবিধা।
‘এখন থেকে কোনো ব্যক্তি বা পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিভাগ ও সিটি করপোরেশনকে অবহিত না করে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন গিয়েছে এমন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করতে পারবেন না,’ বলেন মেয়র আরিফুল।
এসময় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সকলের সহযোগিতা চান তিনি।
সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর আজিজুর রহমান বলেন, ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন চালু করা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। তবে সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় তা অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন করতে পেরেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ও সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পাইলট প্রকল্পে নগরীতে ১১ কেভি ২৫ কিলোমিটার, শূন্য দশমিক ৪ কেভি ১৮ কিলোমিটার ও ৩৩ কেভি ২ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ লাইন নির্মাণ করা হবে।
নগরীর ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই এলাকার সাব স্টেশন কেন্দ্র থেকে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন আম্বরখানা হয়ে যাবে চৌহাট্টায়। সেখান থেকে একটি লাইন নগরীর জিন্দাবাজার কোর্ট পয়েন্ট হয়ে যাবে সিলেট সার্কিট হাউজ পর্যন্ত। আরেকটি লাইন চৌহাট্টা থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যন্ত যাবে।