তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি তারা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
র্যাবের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং নিহতরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুনের ভাষ্য, রাত সাড়ে ৩টার দিকে একদল ডাকাত ছোট কুমিরা এলাকায় র্যাবের টহল টিমকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার এবং একটি বিদেশি পিস্তলসহ দুটি অস্ত্র, ১২ রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায় ভাষ্য, তিনজনের লাশ উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ আলম মোল্লা নিহত তিন ডাকাত সম্প্রতি কুমিরায় ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত ডা. শাহ আলম হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি বলে জানায়। তবে তিনি তাদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি ফিরোজ আলম মোল্লা বলেন, ‘নিহত তিনজনের লাশ র্যাব আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য লাশ তিনটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
উল্লেখ্য গত ১৭ অক্টোবর রাতে মদিনা ফেরত চিকিৎসক ডাক্তার শাহ আলম কর্মস্থল সীতাকুণ্ড থেকে নগরীর চান্দগাঁও এলাকার বাসায় ফিরতে একটি লেগুনায় উঠেন। লেগুনাটি কুমিরা রয়েল গেট এলাকায় পৌঁছলে ছিনতাইকারী চক্র ডাক্তার শাহ আলমের কাছ থেকে টাকা পয়সা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় শাহ আলম বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর লাশ রাস্তায় ফেলে দেয়।
এক সপ্তাহ পর ২৩ অক্টোবর উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র্যাব-৭ এর টহলদলের সাথে গুলিবিনিময়ে চাঞ্চল্যকর ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাতদলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন ওরফে কালু (২৬) নিহত হন।