সোমবার চুয়াডাঙ্গার স্পেশাল ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক মোহা. রবিউল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডিত রাকিব হোসেন জীবননগর উপজেলার নতুন পাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। উজ্জল হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরু মিল পাড়ার আলম হোসেনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিজিবির একটি দল জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে রাকিব হোসেনকে আটক করে। এ সময় তার পায়ে বিশেষভাবে বেঁধে রাখা ১ কেজি ৮শ ৬৫ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৮৮ লাখ টাকা। এ ঘটনায় ৫৮ বিজিবির পক্ষে গয়েশপুর বিওিপির নায়েক সুবেদার আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে জীবননগর থানাতে রাকিব হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, রূপা পাচারের পৃথক দুটি মামলায় উজ্জল হোসেন (৩৫) নামে অপর এক ব্যক্তিকে ১৪ বছর করে ২৮ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে একই আদালত। ২০১৮ সালের ৩ জুন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পুরাতন বাজার এলাকা থেকে উজ্জলকে ১৬ কেজি ৫শ গ্রাম রূপার গহনাসহ আটক করেছিল বিজিবি। এই মামলায় জামিনে থাকা অবস্থায় চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে ৪৬ কেজি ৫শ গ্রাম রূপার গহনাসহ উজ্জল আবারও আটক হয় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির একটি টহল দলের হাতে।
রূপা পাচারের দুটি মামলায় দামুড়হুদা থানা পুলিশ উজ্জলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ দুটি মামলায় আদালত উজ্জল হোসেনকে ১৪ বছর করে ২৮ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।