বর্তমানে তারা ঢাকার শ্যামলীতে সিকেডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাড়ে তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে হরিশপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রাশিদুল ইসলামের সাথে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাতিভাঙ্গা গ্রামের হবিরর রহমানের মেয়ে সেতু খাতুনের বিয়ে হয়। আনসার সদস্য রাশিদুল তিন মাস আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে খুলনার হাসপাতালে পরীক্ষায় তার দুটি কিডনি বিকল বলে ধরা পড়ে।
এ ঘটনায় চরম বিপদে পড়ে যায় পরিবারটি। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার, কিন্তু দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিডনি কিনে প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজন কয়েক লাখ টাকা, যা কখনও রাশিদুলের পরিবারের পক্ষে জোগানো সম্ভব নয়। ফলে হতাশায় পড়ে যায় পরিবারটি। ভাগ্যক্রমে রাশিদুলের সাথে তার স্ত্রীর কিডনি মিলে যায়। ভালোবাসার মানুষটিকে বাঁচাতে কিডনি দিতে রাজী হন স্ত্রী সেতু খাতুন।
গত ১২ নভেম্বর রাজধানীর সিকেডি কিডনি হাসপাতালে তাদের অস্ত্রোপচার করা হয়। পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে স্বামী ও স্ত্রী দুজনই সুস্থ আছেন।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হলে সেতু খাতুন বলেন, ‘পরিবার থেকে বিয়ে দিয়েছে। বিয়ের পর আমি তাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমাদের ভালোবাসা আর দুই বছরের ছেলে সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে আমি তাকে কিডনি দিয়েছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন আমরা যেন সুস্থ থাকি।’