আদালতের পরিদর্শক আল-আমিন জানান, হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে বৃহস্পতিবার রাতে কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে দেন তিনি।
জবানবন্দিতে চাচাতো বোনের হত্যার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আলমগীর জানান, তামান্নার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে তাদের দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। গর্ভবতী হলে তামান্না তাকে বিয়ে করার জন্য আলমগীরকে চাপ দেয়। কিন্তু আলমগীর তাকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য উল্টো চাপ দিলে সে রাজি হয়নি। এতে আলমগীর তামান্নার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করে। এর জেরে গত মঙ্গলবার দুপুরে তাকে মুহুরী ছড়া এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আলমগীর তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার মুহুরীর ছড়া এলাকা থেকে চুনারুঘাট উপজেলার দুধপাতিল গ্রামের আবদুল হান্নানের মেয়ে তামান্নার (১৬) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তামান্নার বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ আলমগীরকে আটক করে।