আজ বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের যশোর থেকে মোট সাতটি ফ্লাইট পরিচালনার কথা রয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন বন্ধ হয়ে যায় যশোর-ঢাকা রুটের ফ্লাইটও।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ১ জুন ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর রুটে বিমান চলাচলের অনুমতি দেয়। তবে করোনাভাইরাস থেকে যাত্রীদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিতে না পারায় তখন যশোর রুটে বিমান চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়নি। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা-যশোর-ঢাকা রুটে বিমান চলাচলের অনুমতি দেয় বেবিচক।
যশোর বিমানবন্দরের ম্যানেজার মো. মাসুদুল হক জানান, ইতোমধ্যে বিমানবন্দর টার্মিনালের প্রবেশমুখে গ্লাস দিয়ে ঘেরা একটি বুথ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে মেডিকেল টিম বসবে। একজন চিকিৎসকের নেতৃত্বে এ টিমের সদস্যরা উড়োজাহাজে উঠতে যাওয়া যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপবে। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য অন্যান্য ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, প্রতিদিন দুটি মেডিকেল টিম বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করবে। প্রথম টিম সকাল ৭টা থেকে বেলা দেড়টা এবং দ্বিতীয় টিম বেলা দেড়টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করবে।
বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার যশোর স্টেশন ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ জানান, তারা বৃহস্পতিবার চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। অবশ্য টিকেট বিক্রি কম হওয়ায় প্রথম দিনে চারটি ফ্লাইট পরিচালনা করা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সাময়িক বন্ধ হওয়ার আগে যশোর থেকে দিনে ১২টি ফ্লাইট পরিচালনা করত সরকারি-বেসরকারি তিনটি বিমান সংস্থা।