লকডাউন
ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে সরকার: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে।
তিনি বলেন, ‘কঠোর লকডাউন হঠাৎ করে প্রত্যাহার করা হয়েছিল যাতে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে। হাজার হাজার মানুষ একসাথে হাঁটছে এবং সবকিছু করছে। কিন্তু শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকছে। ’
আরও পড়ুনঃ বিএনপির পায়ের তলায় মাটি নেই: তথ্যমন্ত্রী
দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের জন্য জিয়া পরিষদের ওষুধ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় না খুলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করার ব্যবস্থা করেছে সরকার।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশ মহামারির মধ্যে মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষার পাশাপাশি টিকা এবং একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য কার্যকর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে কোন পরিকল্পনা নেই। যেটা কিনা নতুন প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি করছে।’
আরও পড়ুনঃ বিএনপির চার নেতা কারাগারে
বিএনপি নেতা বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীর অনলাইন শিক্ষার সুযোগ পেতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন কেনার ক্ষমতা নেই। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা এখন তাদের বাবা-মাকে সাহায্য করার জন্য বেলুন এবং বাদাম বিক্রি করছে কারণ তাদের স্কুল সম্পূর্ণ বন্ধ। তার মানে তারা ইতোমধ্যেই বিমুখ হয়ে পড়েছে।’
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এবং ভাইরাস আক্রান্ত মানুষের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মদিনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক মন্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিহীন। একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না।
সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভয়াবহ ভাঙন, অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর দক্ষিণাঞ্চলে আবারও ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে বাঘুটিয়া ইউপির কয়েকটি গ্রামের প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি, বহু ফসলি জমি ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ওই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন ফসলসহ জমি তলিয়ে গেছে। এছাড়া প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই যমুনায় পানি বাড়ছে। এতে কয়েকদিন ধরে ওই অঞ্চলের বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই ও চরসলিমাবাদসহ কয়েকটি গ্রামে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যেই বাড়িঘর ও গাছপালাসহ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। অনেকে ভাঙনের মুখ থেকে অনত্র ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ যমুনার পানি আরিচা পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার আশঙ্কা
স্থানীয়রা জানান, গত মাসের শেষ দিকে ওই অঞ্চলে ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আবারও কয়েকদিন ধরে এ ভাঙনে এলাকায় কমপক্ষে ৫০টি ঘরবাড়ি যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। তারা সহায় সম্বল হারিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। এছাড়া লকডাউন খুলে দেয়ার পর শিল্প কারখানা খোলায় চরাঞ্চলের অনেকেই ঢাকা ও অনান্য স্থানে কর্মস্থলে গেছেন। এ কারণে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির আসবাবপত্র এক স্থান থেকে অন্যত্র নেয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পরিবারের লোকজনের। এ ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত স্থায়ী তীর সংরক্ষন বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
আরও পড়ুনঃ যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, বর্ষার শুরু থেকে ৫-৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। বিশেষ করে কয়েকদিনে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে ৫০টি ঘরবাড়িসহ বহু গাছপালা নদী গর্ভে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে এবং ভাঙনের বিষয়টি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
ভাঙন রোধে (দায়িত্বপ্রাপ্ত) টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। এই উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল রক্ষায় স্থায়ী তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
এ প্রকল্প অনুমোদন পাওয়া গেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ক্যানবেরায় বাঙালি জাতির মুক্তির নায়ককে স্মরণ
ক্যানবেরায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
রবিবার করোনা মোকাবিলায় ক্যানবেরায় ঘোষিত লকডাউনের প্রেক্ষিতে স্মরণসভাটি ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা
দূতাবাসের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনারসহ সেদেশের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচকরা জাতির পিতার নেতৃত্ব ও অবদানের ওপর আলোচনা করেন। তারা তার প্রজ্ঞা এবং আপোষহীন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
জাতির পিতার দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি আজ স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বক্তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুনঃ শ্রদ্ধাভরে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস
আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের প্রতি শোকাহতচিত্তে গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে কিছু আর্দশগত দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যার ভিত্তিতে একটি প্রগতিশীল সমাজ গঠন ও সক্ষম রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সমাজ এবং জাতীয় পর্যায়ে যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব বিধায়, এ লক্ষ্যে হাইকমিশনার সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অঙ্গিকারাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুনঃ ১৫ আগস্ট: শোক দিবসে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে
করোনা: দেশে পর্যটন ও ভ্রমণে বিধিনিষেধ শিথিল
দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ সময় ধরে চলা লকডাউনের পর দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবার পর্যটন খাতের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে বিধিনিষেধ শিথিলের বিষয়টি জানানো হয়। আগামী ১৯ আগস্ট থেকে চার শর্তে দেশের সকল গণপরিবহন এবং পর্যটন কার্যক্রম শুরু করা যাবে।
আরও পড়ুন: পর্যটন করপোরেশনকে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে হবে: প্রতিমন্ত্রী
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সকল প্রকার গণপরিবহন চলতে পারবে। পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলো ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগ ব্যবহার করে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।
আরও পড়ুন: ভ্রমণপিপাসু মানুষে মুখরিত মোহনপুর পর্যটনকেন্দ্র
তবে সকল ক্ষেত্রে শতভাগ মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কোনও প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি পালনে অবহেলা বা লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।
পরিস্থিতির অবনতি হলে ফের কঠোর লকডাউন: ওবায়দুল কাদের
মানুষের জীবন ও জীবিকার জন্য কঠোর লকডাউন শিথিল করা হয়েছে, কিন্তু করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে এটি পুনরায় জারি করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।
সোমবার সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কার্যালয়ে সওজ ও একটি নির্মাণ কোম্পানির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ টিকার চেয়ে মাস্ক বেশি কার্যকর: কাদের
কাদের বলেন, গণপরিবহনে ভাড়া মহামারির আগের মতোই হবে। সম্প্রতি বাড়ানো ভাড়া নেওয়া যাবে না, কারণ সেগুলো সম্পূর্ণ যাত্রী ধারণক্ষমতায় চলবে। মন্ত্রী বলেন, যাত্রী এবং বাসকর্মী উভয়কেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং মাস্ক পরতে হবে। তিনি বিআরটিএকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান। তিনি প্রকৌশলীদের রাস্তা নির্মাণে মান বজায় রাখার আহবান জানান। এছাড়া মন্ত্রী সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনারও আহবান জানান।
আরও পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধুকে যারা মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল ইতিহাস তাদের ভুলে গেছে: কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সরকারের গণটিকা অভিযান নিয়ে বিএনপির সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, জনগণ এই টিকা দেওয়ার জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছে, এটি বিএনপি নেতাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এসময় তিনি বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণমুখী রাজনীতি এবং জনগণের প্রতি তার গভীর অঙ্গীকার থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহবান জানান।
আরও পড়ুনঃ টিকা নিয়ে মিথ্যা রটানো বন্ধ করুন: বিএনপিকে কাদের
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং নির্মাণ কোম্পানির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজ থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু
সারা দেশে সরকারের লকডাউন শিথিলের ঘোষণার অংশ হিসেবে আগামী ১১ আগস্ট থেকে ৩৮ জোড়া আন্তনগর ট্রেন এবং ২০টি মেইল বা কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে আন্তনগর ট্রেনের মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপ এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে।
রবিবার রেল মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
রেল মন্ত্রণালয় জানায়, ১১ আগস্ট ৭০৫ একতা এক্সপ্রেস, ৭২৬ সুন্দরবন এক্সপ্রেস, ৭৬৫ নীলসাগর এক্সপ্রেস, ৭৭১ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে এবং ৭৮৩ টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি গোবরা থেকে ছাড়বে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ১১ আগস্ট থেকে খুলনার ৫টি ট্রেন চলবে
নতুন সচিব পেল রেলপথ মন্ত্রণালয়
চট্টগ্রামে করোনায় প্রাণ গেল আরও ১৭ জনের
চট্টগ্রামে করোনায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ১১৪ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৬ জনে। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৬০ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ হাজার ৮১২ জন নগরীর বাসিন্দা ও ২২ হাজার ৮৪৮ জন বিভিন্ন উপজেলার।
শুক্রবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ৩৬ মৃত্যু
এইদিন কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ১১টি ল্যাব ও বিভিন্ন এন্টিজেন বুথে সর্বমোট তিন হাজার ৭৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ৫৯ ও উপজেলার ১৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৭৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরের ২১৮ ও উপজেলার ৬২ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৫৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ১০৬ ও উপজেলার ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরের এক জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে করোনায় একদিনে ১৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৭৫৮নমুনা সংগ্রহের পরপরই ফলাফল প্রদানকারী এন্টিজেন টেস্টে ৭৩৯ জনের মধ্যে ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৯৭ জন ও উপজেলার ৯৮ জন।
এদিকে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের ল্যাবে ১৯৯ নমুনা পরীক্ষা নগরীতে ৪৭ জন ও উপজেলার তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়। শেভরন ল্যাবে ২৬৬ টি নমুনায় চট্টগ্রাম নগরীতে ৬৩ ও উপজেলার চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে ৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ২৮ জন ও উপজেলার একজনের করোনা শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১২ মৃত্যু
আরটিআরএল ল্যাবে ১৬ নমুনা পরীক্ষা নগরের আটজন আর উপজেলার দুইজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬১ নমুনা পরীক্ষায় নগরে ৩২ জন আর উপজেলার দুইজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরীতে ৫৩ জন ও উপজেলার ছয়জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন।
এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে কেবল ১৯৫ টি। এর মধ্যে উপজেলার ২২ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।এদিকে চট্টগ্রামে এরইমধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে শয্যা ও আইসিইউ সংকট দেখা দিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় প্রায় ৪২ লাখ ৬৬ হাজার মৃত্যু
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকডাউন দেয়া হলেও মানুষের বিভিন্ন অজুহাতে ঘর থেকে বের হওয়ার প্রবণতাই সংক্রমণ বাড়ার কারণ। তাই মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট তৈরি হয়েছে। আইসিইউ খালি নেই। এই অবস্থায় চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এসময় তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন।
গাজীপুরে দূরপাল্লার ৪০ বাস জব্দ
কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে গাজীপুরে যাত্রী পরিবহন করায় দূরপাল্লার কমপক্ষে ৪০টি বাস জব্দ করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
জব্দকৃত বাসগুলো নগরের কোনাবাড়ী এবং চন্দ্রা এলাকায় মহাসড়কের পাশে রাখা হয়েছে। তবে যাত্রীদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ অমান্য করায় সিলেটে ৯২ যানবাহন জব্দ
কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক জানান, চলমান লকডাউনে দিনের বেলায় চেকপোস্টে গণপরিবহন চলাচলে কড়াকড়ি থাকলেও রাতের বেলায় চেকপোস্টে কিছুটা শিথিল থাকে। সেই সুযোগে উত্তরবঙ্গ থেকে বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাস চলাচল করে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে ৫২ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
ওসি জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাত্রীদের কাছ থেকে তিন থেকে চার গুণ বেশি ভাড়া নিয়ে এসব বাস চলাচল করছে এমন খবরে হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা মোড় ও আশেপাশের এলাকায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালায়। পরে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৪০ বাস জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লকডাউন লঙ্ঘন: বাগেরহাটে একজনের জেল, ৪৯ জনের জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ৪৯ জনকে অর্থদণ্ড ও একজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
লকডাউন নিশ্চিতের লক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৪৬ জনকে জরিমানা
এসময় ৪৯ জনের কাছ থেকে ২৩ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় ও একজনকে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা জানান, অভিযান চলাকালে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারকরা অর্থদণ্ড ছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করছেন। অভিযান চলাকালে ৪৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বেশি দামে সার বিক্রি করায় জরিমানা
এদিকে, বাগেরহাটে লকডাউনের ১৬তম দিনে শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
১০ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউন ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ৫ আগস্ট রাত ১২টা থেকে ১০ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হলো।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, শিল্প ও কল-কারখানা বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত থাকবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল করবে।
এর আগে করোনা নিয়ন্ত্রণে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল সরকার।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্ত: মন্ত্রণালয় সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১১ আগস্ট থেকে অফিস আদালত, দোকানপাট, কল-কারখানা খুলে দেয়ায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণপরিবহন বাইরুটেশনের মাধ্যমে সীমিত আকারে চলবে।
দেশে করোনা পরিস্থিতি
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ২৪১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬৩৮ জনে।
একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে আরও ১৩ হাজার ৮১৭ জনের। এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৯ হাজার ৯১০ জনে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৯ হাজার ৫১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই সময় শনাক্তের হার শতকরা ২৭.৯১ শতাংশ। এই পর্যন্ত করোনায় দেশে মৃত্যুর হার ১.৬৫ শতাংশ। সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৪১ হাজার ১৫৭ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮৬. ৮০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ৩৪ প্রাণহানি
বরিশাল বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ৩২
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ২০ কোটি ছাড়াল