লকডাউন
মানিকগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ৩ মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় ৫০ শতাংশ
গত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জে ৪১০টি নমুনা পরীক্ষায় ২০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। একই সময়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, নতুন আক্রান্ত ২০৩ জনের মধ্যে সিংগাইরে ৬৮ জন, মানিকগঞ্জ সদরে ৪৬ জন, সাটুরিয়ায় ৩৬ জন, শিবালয়ে ২৭ জন, হরিরামপুরে ১২ জন, ঘিওরে সাত জন এবং দৌলতপুর উপজেলার সাত জন আছেন।
পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ৪১ মৃত্যু
তিনি জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৫৮১টি নমুনা পরীক্ষা করে চার হাজার ৭২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৯৯২ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৭৫ জন।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাজী এ কে এম রাসেল বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিন জন। তাদের মধ্যে করোনায় এক জন এবং উপসর্গ নিয়ে দুজন মারা গেছেন। আজ দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৩০ জন। এর মধ্যে পজিটিভ ৯০ জন এবং আইসোলেশনে আছেন ১৪০ জন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মানিকগঞ্জে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ছয় দিনে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭৯ জন। ২৩ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ জন, ২৪ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮ জন, ২৫ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৯ জন, ২৬ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১৭০ জন এবং ২৭ জুলাই আক্রান্ত হয়েছেন ১৯২ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হলেন ২০৩ জন।
পড়ুন: কঠোর লকডাউন: ঢাকার রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন বেড়েছে
করোনাতেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯৮ শতাংশ
এদিকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও মানিকগঞ্জে মানুষের চলাচল বেড়েছে । নানান অযুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ মানাতে জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বয়ে ১৪টি ভ্রাম্যমান আদালত কাজ করছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। এরপরও মানুষকে মানানো যাচ্ছে না। নানান অযুহাত দেখিয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট দিয়ে অনায়াসে যাত্রীরা ঢাকায় যাতায়াত করছে। ফেরিতে গাদাগাদি করে এসে পাটুরিয়াঘাটে নামছে যাত্রী ও বহু মোটরসাইকেল। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে আসা এসব মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ মান্য করাতে জেলায় পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবির সমন্বয়ে ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। ফেরিঘাট এলাকায়ও শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন জরিমানাও করা হচ্ছে।
বৈরী আবহাওয়ায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে ফেরি চলাচল বন্ধ
সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর ও পদ্মা নদীতে এক নম্বর বিপদ সংকেত থাকায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে কৃর্তপক্ষ।
এদিকে, প্রচণ্ড বাতাসে শিমুলিয়া বন্দরের চারটি ঘাটের দুটি পন্টুন সরে গেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা, আহত ২০
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনে (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম জানান, নদীতে প্রবল ঢেউ আর স্রোত থাকায় ফেরিগুলো হেলেদুলে ঝুঁকিতে নদী পাড়ি দিচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ নৌপথের দুপাড়ে ৬ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
অপরদিকে, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। ঢাকা ও এর আশেপাশের কর্মস্থলে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
যাত্রীরা জানায়, কাজ না করলে খাব কী। লকডাউন কতদিন থাকবে তার ঠিক নেই। ঈদে গ্রামে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে গেছে। তাই কাজে ফিরে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা
এছাড়া ঘাটে জরুরি ও পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়াও শতশত মানুষ ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেয়া শুরু হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মঙ্গলবার দুপুরে করোনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে এক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সভার সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানোর সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভাপতিত্বে বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশপ্রধান, বিজিবি প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিকা কার্যক্রম জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে এনআইডি নিয়ে গেলেই টিকা দেয়া যাবে । এর আগে দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কেন্দ্র স্হাপনের কাজ শেষ করা হবে।
আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, যাদের এনআইডি নেই তাদের বিশেষ ব্যবস্হায় টিকা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বাস্হ্য মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোতে ৫০ এর বেশি বয়সী রোগীর সংখ্যা বেশি এবং তারা টিকাও নেননি । এই বয়সীরা অগ্রাধিকার পাবে টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, চলমান লকডাউন ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে । শিল্পপতিরা লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টস খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছিলেন আমরা সেই দাবি রাখতে পারছিনা ।
লকডাউন ঢিলেঢালাভাবে হচ্ছে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, লকডাউন যাতে আরও কঠোর হয় সে বিষয়ে মাঠে কাজ করা আইনশৃংখলা বাহীনিকে নির্দশনা দেয়া হয়েছে । সবাইকে মাস্ক পড়তেই হবে । ফ্রন্টলাইনারদের পরিবারের সদস্য যাদের বয়স ১৮ বছর তারা সবাই টিকা পাবে ।
লকডাউন বাড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় একদিনে সর্বোচ্চ ৮৩৬ শনাক্ত, মৃত্যু ১০
চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ১৮ মৃত্যু
আখাউড়ায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। সোমবার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে দুবাই প্রবাসী সুহেল মিয়ার মেয়ের বিয়ের বাড়িতে গিয়ে আয়োজন চলাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোমানা আক্তার বিয়ে বন্ধ করে দেন।
এসময় বাল্য বিয়ের আয়োজন করায় বর ও কনে উভয় পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, সোমবার দুপুরে রুটি গ্রামের প্রবাসী সুহেল মিয়ার মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে জুনায়েদ বাবুর বিয়ের আয়োজন করা হয়। দুপুরে বর নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হন বরপক্ষের অর্ধশত বরযাত্রী। বরযাত্রীদের খাবার টেবিলে বসানো হয় ভুরিভোজের জন্য। বিয়ে বাড়িতে তখন এক আনন্দঘন মুহূর্ত। এমন সময় কনের বাড়িতে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার।
পড়ুন: একরাতে ৪ বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সিরাজগঞ্জের সেই ইউএনও
পরে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম এবং ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আশরাফুল আলমের উপস্থিতিতে বর-কনের জন্মনিবন্ধন যাচাই করে বয়স না হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেন। উভয়পক্ষের অভিভাবক মুচলেকা দেন সঠিক বয়স না হওয়া পর্যন্ত ছেলে-মেয়ের দিবেন না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, লকডাউনের মধ্যে বিয়ের আয়োজন করায় এবং বর ও কনের বিয়ের বয়স না হওয়ায় উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। উভয় পক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পড়ুন: ৩৫০টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে রেকর্ড গড়লেন বেলকুচির ইউএনও
এসময় আখাউড়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক এবং সমান সংখ্যক নার্স নিয়োগ দেয়া হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ডাক্তার নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছে। তারা আর কত কাজ করবে? নতুন ৪ হাজার চিকিৎসক আমরা নিচ্ছি, নার্সও ৪ হাজার নেয়া হচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নেয়া হচ্ছে।’
সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, এখন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
পড়ুন: মাসে এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, গ্রামে ভ্যাকসিন নেয়া নিয়ে বয়স্কদের মধ্যে একটা অনীহা আছে, তাই ওয়ার্ড পর্যায়ে বয়স্ক লোকদের টিকা দয়োর ব্যবস্থা করা হবে। হাসপাতালে দেখা গেছে গ্রামের বয়স্ক লোকেরাই আছেন ৭০ শতাংশ, তাদের মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ।
‘ভ্যাকসিনেট কার্যক্রম এখন আমরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও জেলা-উপজেলা লেভেলে বেশি জোর দিব। গ্রামের লোকেরা অনেক সময় পরীক্ষা করতে চায়না। তাদের টেস্ট করার বিষয়েও জোর দিব,’ বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালের ৯০ শতাংশ আসনে রোগী ভর্তি। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, করে যাব। বঙ্গমাতা কনভেনশন সেন্টারে আমরা অচিরেই উদ্বোধন করছি। এরপর কোনো ভবনও নেই যে আমরা কিছু করব, হাসপাতাল স্থাপন করব।
পড়ুন: ২১ কোটি টিকা আসছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আইভিআইয়ের সহযেগিতায় দেশেই টিকা উৎপাদন সম্ভব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, লকডাউন দিয়ে যদি মানাতে না পারি, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে তো ভয়াবহ পরিণতি। হাসপাতালে জায়গা হবে না। ইকোনোমিতে অ্যাফেক্ট পড়বে। প্রোডাকশনে অ্যাফেক্ট করে যাবে।
‘লকডাউনের ৩-৪ দিন চলছে, রাস্তাঘাটে যেভাবে মানুষ বের হচ্ছে, গাড়ি-ঘোড়া চলছে, আমরা তাতে খুবই দুঃখিত। কারণ তাতে লকডাউন ব্রেক হচ্ছে। তারা নিজেদের ক্ষতি করছে,’ বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জরিমানা করা হচ্ছে, জেলেও পাঠানো হচ্ছে তারপরেও এটা মানছে না। কিন্তু এটা মানাতে হবে। এটা ছাড়া দেয়ার ইজ নো অল্টারনেটিভ।’
তিনি বলেন, লকডাউন মানাতে হবে। লকডাউন মানানোর জন্য যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে আরও কঠোর হতে হবে।
কুড়িগ্রামে পুলিশকে ধাওয়া দেয়ার ঘটনায় মামলা
লকডাউনে জনসমাগম রোধ এবং মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে গিয়ে জনতার ধাওয়ার শিকার হয়েছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বুলবুল ইসলাম এবং কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম। এ ঘটনায় কচাকাটা থানায় সরকারি কাজে বাধা প্রদান অপরাধে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
কচাকাটা থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
পুলিশ জানায়, চলমান লকডাউন কাযর্কর এবং স্বাস্থ্য বিধি মানাতে গত রবিবার পৌনে ৭টার দিকে কচাকাটা বাজারে দায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই বুলবুল ইসলাম এবং কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম। দায়িত্ব পালনকালে গরুর হাটের দিকে ব্যাপক জনসমাগম দেখতে পান তারা। সেই জনসমাগম রোধ করা এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সেখানে যান তারা। এসময় কয়েকজন জনতা দৌঁড় দিলে পালানো সময় তাদের মধ্যে একজনের হাতে থাকা ব্যাগের জিনিসপত্র মাটিতে পড়ে যায়। এসময় কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে উল্টো বুলবুল ইসলাম ও কনস্টেবল আজমাইনকে ধাওয়া করেন।
পড়ুন: কুড়িগ্রামে ২০ কেজি ওজনের প্রাচীন গো-মূর্তি উদ্ধার
পরে বুলবুল কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের পাশে অবস্থিত তার ভাড়া বাসায় প্রবেশ করেন। এসময় উত্তেজিত জনতা লাঠিসোটা নিয়ে তার বাসার সামনে অবস্থান নেয় এবং বাসার গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলমসহ পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনা স্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে এএসআই বুলবুলকে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা সোমবার ২৬ জুলাই সকাল ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেন।
পড়ুন: কুড়িগ্রামে ট্রাক্টর উল্টে পথচারীর মৃত্যু
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা মানুষ
পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা মামলার দায়ের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কচাকাটা হাটে মানুষের সমাগম রোধে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিল। এসময় হাটের কিছু দুষ্টু লোক গুজব ছড়িয়ে দেয় হাটে এসে পুলিশ মারপিট করছে। ফলে একটি ভুল বোঝাবুঝির হয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়।
আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
লকডাউন: বিনা বাধায় ফেরিতে যাত্রী আসছে পাটুরিয়াঘাটে
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সীমিত পরিসরে ফেরি চলাচল করছে। জরুরি পরিষেবার যানবাহন ও পন্যবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য ৬টি ফেরি রাখা হয়েছে। তবে ওইসব ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিষেবার যানবাহনের সঙ্গে ওঠে যাচ্ছে যাত্রী ও শত শত মোটরসাইকেল । প্রতি ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর পর ফেরিগুলো ছাড়া হচ্ছে। বিনা বাধায় যাত্রীরা ফেরিতে চড়ে পাটুরিয়াঘাটে চলে আসছে।
যাত্রীরা বলছেন, জীবিকার তাগিতে তাদের যেতে হচ্ছে। তবে রাস্তায় ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে তাদের আসতে হয়েছে।
পড়ুন: মানিকগঞ্জে করোনায় প্রাণ গেল ২ জনের, শনাক্ত ৬৭
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) অরিচা সেক্টরের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, এই নৌরুটে চলাচলকারী ১৬টি ফেরির মধ্যে ৬টি চালানো হচ্ছে জরুরি পরিষেবা ও জরুরি পন্যবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য। বাকি ফেরিগুলোকে ঘাটে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। তবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা থেকে বিভিন্ন ভাবে যাত্রীরা আসছে দৌলতদিয়াঘাটে। সেখান থেকে সুযোগ বুঝে ফেরিতে উঠে পড়ছে। তাদের ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। পাশাপাশি নানা অযুহাত দেখিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাসও ফেরিতে উঠে পড়ছে। প্রশাসনিক নজরদারি থাকলে হয়তোবা সেগুলো ঠেকানো সম্ভব হতো।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, পাটুরিয়াঘাট থেকে জরুরি প্রয়োজনের গাড়ি ছাড়া কোন যানবাহন পার করতে দেয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ পাটুরিয়া ফেরিঘাটে পুলিশি নজরদারি রয়েছে। তবে ওপার (দৌলতদিয়াঘাট) থেকে যে যাত্রী ও কিংবা যানবাহনগুলো আসছে সেগুলো আমরা ফেরত পাঠাতে পারছি না।
পড়ুন: মানিকগঞ্জে লকডাউন অমান্যে ৪৯ মামলা, জরিমানা
মানিকগঞ্জে লকডাউনে তৎপর প্রশাসন, অবাধে চলাচল মানুষের
লকডাউনে ট্রলারে পিকনিক, খাবার গেল এতিমখানা-মাদ্রাসায়
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সরকারের চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করে ট্রলারে বনভোজনের (পিকনিক) আয়োজন পণ্ড করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিধিনিষেধ ভঙ্গের অপরাধে মামলা ও জরিমানাও করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা হক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচটি মামলায় ১১হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেন। আয়োজকদের পাঁচজনকে জরিমানা করা হয় ।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৮৩
রবিবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের বোয়ালজুড়ি খালে অভিযান চালিয়ে সরকারের বিধিনিষেধ অমান্য করে অপরাধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও পিকনিকের সব খাদ্যসামগ্রীও জব্দ করা হয়। জব্দ করা খাবার পরে এলাকার এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ৩,২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেটু কুমার বড়ুয়া, মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনবি কে জানান, লকডাউন চলাকালে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে জনসমাগম করায় তাদেরকে এ জরিমানা করা হয়েছে। সরকারের বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বিনা প্রয়োজন কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না।
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৮৩
ঈদের ছুটি শেষে সরকারের আরোপিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী ঢাকায় ৩৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার এ সময় ৪৪১ টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বিনা প্রয়োজনে ঘোরাঘুরি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে ১৩৭ জনের কাছ থেকে ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
ট্র্যাফিক বিভাগ যানবাহনের কাছ থেকে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
শনিবার রাজধানীর রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা ছিল। কারণ এদিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো লকডাউন কার্যকরে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল।
নতুন করে দেয়া লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবারের তুলনায় শনিবার রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে কম সংখ্যক ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাণিজ্যিক যানবাহন দেখা গেছে।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনা সদস্যদের রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের যানবাহন ও লোকজনের চলাচল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: ঢাকায় গ্রেপ্তার ৫৫০
ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার উত্তরা ও আবদুল্লাহপুর হয়ে দুরপাল্লার কয়েকটি বাস ও যানবাহনকে ঢাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও আমরা শনিবার কঠোরভাবে 'নো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করছি।’
ফলে ছুটির পর মহানগরীতে ফিরে আসা অনেককে আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, টঙ্গী, আমিন বাজার সেতু এবং বাবু বাজার সেতুসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পায়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
তবে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবল অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি সেবা প্রদানকারীদের রাজধানীতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
কোনও বৈধ কারণ ছাড়াই রাস্তায় চলাচল করা কয়েকটি প্রাইভেট গাড়ি, মাইক্রোবাস এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক যানবাহনকে জরিমানা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লকডাউন লঙ্ঘন: রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৬২১
আমিন বাজার এলাকার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘কিছু লোক চিকিৎসাপত্র দেখিয়ে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু বেশিরভাগেরই কাগজপত্র পুরানো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ।’
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মনন্ত্রালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফারহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, আগের লকডাউনের তুলনায় এবারের লকডাউন আরও কঠোর হবে। রাস্তায় পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের চতুর্থ দিনে গ্রেপ্তার ৬১৮, জরিমানা প্রায় ১৩ লাখ
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রাস্তাঘাট ফাঁকা
দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শনিবার রাজধানীর রাস্তাঘাট প্রায় জনমানবহীন ছিল। ঈদ উপলক্ষ্যে আট দিনের বিরতি শেষে ক্রমবর্ধমান করোনা মোকাবিলায় শুক্রবার থেকে আবারও কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়েছে। এই লকডাউন চলবে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।
শুক্রবারের তুলনায় রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাণিজ্যিক যানবাহনের সংখ্যা ছিল কম।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন
রাস্তায় স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে যানবাহন ও লোকজনের চলাচল নজরদারিতে রাখতে দেখা গেছে।
গাবতলী-মিরপুর রোড-নিউ মার্কেট থেকে উত্তরা-বিমানবন্দর-মহাখালী পর্যন্ত মানুষের অপ্রয়োজনীয় চলাচল রোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর চেকপোস্ট স্থাপন করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ পুনরায় লকডাউনে রাজধানীর সড়কগুলোতে শুনশান নীরবতা
ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার উত্তরা ও আবদুল্লাহপুর হয়ে দুরপাল্লার কয়েকটি বাস ও যানবাহনকে ঢাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলেও আমরা শনিবার কঠোরভাবে 'নো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করছি।’
ফলে ছুটির পর মহানগরীতে ফিরে আসা অনেককে আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, টঙ্গী, আমিন বাজার সেতু এবং বাবু বাজার সেতুসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পায়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনেও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য চলবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট