চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চবিতে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত, মূল ফটকে তালা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আহত দুই শিক্ষার্থী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শাহাদাত হোসেন ও মায়েশা।
এ ঘটনার জেরে ১ নম্বর গেইট ও রেলক্রসিং এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দিয়েছে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসি।
আরও পড়ুন: চবিতে আবারও ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার চবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয়দের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা।
সড়ক অবরোধকারীরা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবারের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ করেনি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করলেও তার রিপোর্ট এখনো দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি। তাই তারা এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের এ আন্দোলন চলমান রয়েছে। এছাড়াও মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মোটরসাইকেলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও ফতেপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিনের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে।
আরও পড়ুন: চবির শাটলে কথা কাটাকাটি, ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩
এ ঘটনায় বখতিয়ার ও ওই ছাত্রের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গেও বখতিয়ারের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীর সঙ্গে বখতিয়ারের হাতাহাতির একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় ৩ জন। এ ঘটনার জের ধরেই স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের মারধর করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর রোকন উদ্দিন বলেন, পুলিশ প্রশাসন নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে চবি কর্তৃপক্ষ
চবিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অধ্যাপক ড. মতিনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪৮নং বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘যৌন হয়রানির অভিযোগটি গুরুতর। এজন্য একটা এজেন্ডা নিয়ে এই বিশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুইটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিটির সদস্যরা ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণ করার সুপারিশ করেছে। সে অনুযায়ী সিন্ডিকেট চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
উল্লেখ্য, স্নাতকোত্তর পর্বের থিসিস করতে গিয়ে শিক্ষক মতিন কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে ৩১ জানুয়ারি অভিযোগ করেন চবির রসায়ন বিভাগের এক ছাত্রী। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলার দাবিতে টানা আন্দোলন ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
ওইদিন মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র দেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগে বলা হয় থিসিস চলাকালীন ওই শিক্ষকের হাতে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হন তিনি। পরে ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
চবিতে আবারও ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
পূর্ব বিরোধের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগের বিজয় ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সংঘর্ষ শুরুর এক ঘণ্টা পর পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়। বর্তমানে বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হল ও সিক্সটি নাইন গ্রুপ শাহজালাল হলে অবস্থান করছেন। তবে এ ঘটনায় উভয় গ্রুপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংঘর্ষে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
সংঘর্ষে জড়ানো বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা নিজেদের সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে গতকাল বুধবারও বিজয় গ্রুপের কর্মী কামরুল ইসলামের গ্রুপ পরিবর্তন নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কামরুল ইসলাম ২০১৯ সালের দিকে সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজয় গ্রুপে যোগ দেন। এ নিয়ে সিক্সটি গ্রুপের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই কামরুলের বিরোধ হয়ে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত রবিবার কামরুলকে মারধর করেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা।
পরে বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মী রাতের খাবার খেতে এলে কামরুলের সঙ্গে তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে আর সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
আরও পড়ুন: চবি সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের বার্ষিক পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
এ ঘটনার জের ধরে সিক্সটি নাইনের নেতা-কর্মীরা বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিজয়ের এক কর্মীকে কলা ঝুপড়ি এলাকায় মারধর করে। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিজয়ের কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। পরে সিক্সটি নাইনের কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেলে নিক্ষেপে লিপ্ত হয় গ্রুপ দুইটি।
শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের একাংশের নেতা সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রাশেদকে পূর্বের ঘটনার জের ধরে আজকের চলমান পিঠা উৎসবে মারধর করে তারা। সেই মারধরের ঘটনা রূপ নেয় সংঘর্ষে।
চবি'র সহকারী প্রক্টর নাজেমুল মুরাদ বলেন, দুই পক্ষকেই হলে পাঠানো হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
আরও পড়ুন: চবিগামী শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন একই বিভাগের ছাত্রী।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) উপাচার্যের কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। এরপরই চবি প্রশাসন যৌন হয়রানি বিরোধী সেলের প্রধান অধ্যাপক ড. জারিন আক্তারের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘একটি মেয়ে আমাদের কাছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: চবিতে একাডেমিক জট নিরসনের দাবিতে প্রধান ফটকে তালা
এদিকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে বিভাগটির একদল শিক্ষার্থী বিজ্ঞান অনুষদের সামনে বুধবার মানববন্ধন করেন।
লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী জানান, ‘থিসিস চলাকালীন সময়ে আমার সুপারভাইজার কর্তৃক যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের শিকার হই। থিসিস শুরুর পর থেকে তিনি আমার সঙ্গে বিভিন্ন যৌন হয়রানিমূলক; যেমন-জোর করে হাত চেপে ধরা, শরীরের বিভিন্ন অংশে অতর্কিত ও জোরপূর্বক স্পর্শ করা, অসংগত ও অনুপযুক্ত শব্দের ব্যবহার করেছেন। কেমিক্যাল আনাসহ আরও বিভিন্ন বাহানায় তিনি আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক জাপটে ধরতেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, ‘এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে এভাবে কেন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে আমি জানি না।’
আরও পড়ুন: ‘অবরোধ’ লিখে চবি প্রশাসনিক ভবনে ছাত্রদলের তালা!
চবি’র ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে তালা ঝুলানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
চবিতে প্রথম আলোর প্রতিনিধির উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দৈনিক প্রথম আলো’র চবি প্রতিনিধি মোশারফ শাহের উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন মোশারফ শাহ।
ভুক্তভোগী মোশারফ শাহের দাবি, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে তাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে বিবাদমান ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের একাংশ। হামলাকারীরা শাখা ছাত্রলীগের উপ গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের (সিএফসি) কর্মী।
ভুক্তভোগী মোশাররফ চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য। আহত অবস্থায় মোশাররফকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোশাররফ শাহ জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি উপাচার্যের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন 'ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, ভাঙচুর, প্রধান প্রকৌশলীকে মারধরসহ' সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য। এ সময় দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে ১৫-২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী তাকে প্রথমে পেছন থেকে ধাক্কা দেন। এরপর ছাত্রলীগ নিয়ে কেনো প্রতিবেদন তৈরি করেছেন, তা জানতে চান। কয়েকজন তার কপালে, মুখে কিলঘুষি দেন। তার বুকে লাথি দেন। হাতেও আঘাত করেন।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
মোশাররফ জানান, মারধরের সময় নেতা-কর্মীরা তাকে পরবর্তীতে আর ছাত্রলীগ নিয়ে প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকি দেন। তারা বলেন, ‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে। ছাত্রলীগকে নিয়ে কোনো নিউজ হবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আবু তৈয়ব বলেন, ‘মোশাররফের কপালে চার সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে হাতেও আঘাত আছে। এক্সরে করাতে হবে। এ ছাড়া উন্নত চিকিৎসা জন্য চমেকে পাঠানো হয়েছে।’
ছাত্রলীগের উপ গ্রুপ সিএফসির নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রেজাউল হক।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন আমরা এ নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’
এদিকে গত ৩ দিন ধরে চবি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরিণ বিরোধের জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে আসছে। এ অবস্থায় আজ রবিবার দুপুরে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ চবি ছাত্রীগের শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চবিতে চতুরমুখী সংঘর্ষে লিপ্ত ছাত্রলীগ
চবিতে সংঘর্ষ: ৫ বহিরাগত আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
ফের চালু হল চবি’র শাটল ট্রেন
অবশেষে চালু হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের বহনকারী শাটল ট্রেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে চবি প্রশাসনের বৈঠকের পর দুপুর ২টা ৫০ মিনিট থেকে শাটল ট্রেন চালু হয়েছে।
শহরের বটতলী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে একটি ট্রেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি সমিতির প্রচার সম্পাদক শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের ছয় দফা দাবি পূরণের আশ্বাস দেওয়ায় দুপুর থেকে ট্রেন চালু হয়েছে।
ষোলশহর স্টেশন মাস্টার জয়নাল আবেদিন বলেন, রেল স্টাফরা সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখলেও দুপুরে চালু করেন।
আরও পড়ুন: চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে চৌধুরী হাট এলাকায় ভেঙে পড়া গাছের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গামী ট্রেনের ধাক্কা লাগলে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের লোকমাস্টারদের (এলএম) লাঞ্ছিত করে। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট-বড় গাড়ি ভাঙচুর করে।
রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতের দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী আহত হলে আমাদের দুই লোকমাস্টারকে লাঞ্ছিত করা হয়। ফলে নিরাপত্তার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় তারা আমাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর বটতলী রেলস্টেশন থেকে কোনো ট্রেন চবি ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে না যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত ২০, রাতভর উত্তাল ক্যাম্পাস
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের ধাক্কায় নিহত নানী-নাতি
কমিটির দাবিতে চবি ফটকে ছাত্রলীগের অবরোধ
মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল এবং নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগের একাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আন্দোলনকারীরা মূল ফটকের সামনে অবস্থানের খবর পেয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে যান।
প্রধান ফটক আটকে অবরোধের ডাক দেওয়া চবি ছাত্রলীগের একাংশ ‘ভিএক্স গ্রুপ’ ক্যাম্পাসে সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
চবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মেয়াদপূর্তি হয়েছে তিন বছর আগেই।
গত বছর পূর্ণাঙ্গ কমিটি করলেও তা ছিল বিতর্কিত। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে নতুন কমিটির বিকল্প নেই। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসলেও সভাপতি সম্পাদক কোনো উদ্যোগ নেননি।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে চবির মূল ফটকে তালা
তিনি আরও বলেন, সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নিষ্ক্রিয়তার জন্য ছাত্রদল শোকের মাসে ক্যাম্পাসে মিছিল করার সাহস দেখায়। সুতরাং আমাদের দাবি দ্রুত সময়ে বর্তমান মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন। নতুবা আমাদের আন্দোলন চলবে। এক বছরের জন্য গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে চার বছর হয়ে গেছে। এসব কিছু মিলিয়ে আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে চবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।
চবির সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম জানান, কিছু ছাত্র অবরোধ করেছে শুনেছি। সেখানে শিক্ষকরা যাচ্ছেন। এখনো বিস্তারিত জানি না।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। আর ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
আরও পড়ুন: চবিতে সাংবাদিককে নির্যাতন, ২ ছাত্রলীগকর্মী বহিস্কার
চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনে যান্ত্রিক ত্রুটি, ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
প্রক্টর জানান, গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলমকে আহ্বায়ক এবং আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নির্মল কুমার শাহা ও সহকারী প্রক্টর হাসান মোহাম্মদ রোমানকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়াকে।
এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শাহ জালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জামাল উদ্দিন ও সহকারী প্রক্টর মোর্শেদুল আলম।
একই দিন দুপুরে প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনায় আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদকে আহ্বায়ক করে এই কমিটিতে প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং গোপনীয় শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিমকে সদস্য করা হয়েছে।
প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার আরেকটি ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে খাবার হোটেলে বসা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা।
সেই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আরেক দফা সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
এছাড়া উভয় ঘটনায় প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২২ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষই প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে। একইদিন দুপুরে চাকরি চেয়ে প্রক্টর কার্যালয়ে তালা দেয় ছাত্রলীগের একাংশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে চবি কর্তৃপক্ষ ও হাটহাজারী পুলিশ যৌথভাবে বিভিন্ন হলে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধার করে। এসব ঘটনায় কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮
চবিতে ফের সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া
চবিতে ফের সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলগের বিবাদমান দুইপক্ষ ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এসময় দুই পক্ষকে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রহাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পরে র্যাব-৭ এর একটি টিম ক্যাপাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গতকাল বুধবার কথা কাটাকাটির মত তুচ্ছ ঘটনায় চবি শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য, একজন সহকারী প্রক্টরসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ ও প্রক্টর আহত
সংঘর্ষের সময় চবি শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রমজান হোসাইন প্রতিপক্ষের রামদার কোপে গুরুতর আহত হয়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে শাটল ট্রেনভিত্তিক ছাত্রলীগের গ্রুপ সিএফসি ওসিক্সটি নাইনের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষকে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে।
দুপুর সাড়ে তিনটায় পর্যন্ত শাহ আমানত হল ও শাহ জালাল হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপকে উত্তেজিত অবস্থায় দেখা গেছে। হলগুলোতে ছাত্রলীগকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
চবির সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রাখে। পরে র্যাব টিম ক্যাম্পাসে পৌঁছলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদে উঠতে গিয়ে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
প্রশাসনিক পদ থেকে আরও ৩ চবি শিক্ষকের পদত্যাগ
চবির শাটল ট্রেনের ছাদে উঠতে গিয়ে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাটহাজারী উপজেলার চৌধুরী হাট রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক মো. ইয়াসিন (৩০) হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ৪ নং ওয়ার্ডের পাহাড়িকা আবাসিক এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: মহাখালী রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ইয়াসিন চৌধুরী হাট রেলস্টেশনে চবির শাটল ট্রেনের দুই বগির মাঝখান দিয়ে ছাদে উঠতে গিয়ে নিচে পড়ে যায়।
এতে তার বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ইয়াসিনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আলম আশেক জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে বাম হাত শরীর থেকে দুই ভাগে বিচ্ছিন্ন হওয়া এক যুবককে চমেক হাসপাতালে আনা হয়।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে রেলওয়ে পুলিশের কনস্টেবল নিহত
চবির শাটল ট্রেনে যান্ত্রিক ত্রুটি, ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা